পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোরাণ-তত্ত্ব । જે છે করিয়া ভাল কাপড়ে বান্ধিয়া উঠাইয়া রাখিলাম, কাজের ক্রটি হইলে মালেক যখন শাসন করিবে, তখন যদি বলি আমি আপনার চিঠি পড়িয়া দৈখি নাই বা বুঝিতে চেষ্টা করি নাই, তখন মালেক আমার ক্রটি ক্ষমা করিবেন কি ? অতএব আশা করি সর্ব সাধারণ আমার এই কোরাণ-তত্ত্ব পাঠ করিয়া কোরাণের সার মৰ্ম্ম অবগত হইবেন এবং তদনুসারে কার্য্য করিবেন। ২ । বন্দেগী নামাজের নাম এবাদতি ইহার সার তত্ত্ব সেরেক হীন বন্দেগী করিলে খোদার সাক্ষাৎ পাওয়া যাইবে সেই স্থলে বিশেষ ব্যাখ্যা দেওয়া হইয়াছে । ৩ । দায়েমী নমাজ —দায়েমী অর্থ হামেসা । সৰ্ব্বদা খোদার নিকটে হাজির থাকা ও র্তাহাকে দেখা এবং তাহার সেবা করা ইহার প্রকৃত অর্থ। এই নামাজে হুজুরী দেল হওয়া আবশ্বক অর্থাৎ খোদাকে প্রত্যক্ষ দেখিয়া ( আয়েনী জেকের ) কালবি জেকের (দেলে ইয়াদ) আমল করাকে প্রকৃত দায়েমী নমাজ বলে । ইহার ফলে জান্নাতে দাখেল হওয়া যাইবে । এস্থলে জান্নাতে দখেল অর্থ খোদার সাক্ষাৎ বুঝতে হইবে । এই জন্যই পবিত্র কোরাণে ছেজদা করিতে ও নিকটবৰ্ত্তী হইতে আদেশ করিয়াছেন। মালেকের সঙ্গে দেখা হইল, আমি তাহার গোলাম হইলাম ; মালেক যেখানে থাকে গোলামকে সেইখানেই থাকিতে হয় মালেক জান্নাতে আছেন সুতরাং গোলামকে সেইখানেই থাকিতে হইল। সুতরাং ইহ জীবনেই জান্নাতে দাখিল হইলাম দোজখের ভয় গেল । এখন জিজ্ঞাস্ত খোদাকে যদি কেয়ামতের পূর্বে দেখা না যায়