পাতা:কোরাণ শরিফ - তৃতীয় ভাগ.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鄰 কোরাণ শরিফ । 9 (א তোমরা কি দেখিয়াছ যে ঈশ্বর ব্যতীত যাহাদিগকে তোমরা আহবান করিয়া থাক যদি ঈশ্বর আমাকে দুঃখ দিতে চাহেন তাহারা কি তাহার ( প্রদেয় ) দুখের নিবারক হইবে ? অথবা যদি আমার প্রতি তিনি অনুগ্রহ করিতে চাহেন তাছারা কি তাহার অনুগ্রহের অবরোধক হইবে ? তুমি বল ঈশ্বরই আমার প্রচুর, নির্ভর কারী লোকেরা তাহার প্রতিই নির্ভর করিয়া থাকে। ৩৮ । তুমি বল, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা স্বীয় ভূমিতে কাৰ্য্য করিতে থাক, নিশ্চয় আমিও কার্য্যকারক, পরে অচিরে তোমরা জানিতে পাইবে যে ( তোমাদের ও আমাদের মধ্যে ) কাহার প্রতি তাহাকে নির্যাতিত করে এমন শাস্তি উপস্থিত হয় ও তাহার প্রতি চির শাস্তি অবতরণ করে । ৩৯+৪০ । নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি ( হে মোহম্মদ, ) মানবমণ্ডলীর জন্য গ্রন্থ সত্যভাবে অবতারণ করিয়াছি, অনম্ভর যে ব্যক্তি পথ প্রাপ্ত হইয়াছে পরে আপন জীবনের জন্য ( পাইয়াছে, ) এবং যে ব্যক্তি বিপথগামী চষ্টয়াছে পরে ( আপনার ) প্রতি সে বিপথগামী ছয় ইহা বৈ নহে, এবং তুমি তাহাদের সম্বন্ধে রক্ষক নও । ৪১ ৷ (র, ৪) পরমেশ্বর প্রাণকে তাহার মৃতু্য কালে হরণ করেন, এবং যাহা ( যে প্রাণ ) মরে নাই তাহাকে তাহার নিদ্রাবস্থায় ( হরণ করেন) অনন্তর যাহার প্রতি মৃত্যুর তাদেশ হইয়াছে তাহাকে বদ্ধ রাখেন ও অপর ( আত্মাকে ) নিৰ্দ্ধিঃ কাল পর্য্যস্ত প্রেরণ করেন, নিশ্চয় ইহাতে চিন্তা করে এমন জাতির জন্য নিদর্শন সকল আছে * ।

  • প্রত্যেক মনুষ্যের দ্বিবিধ প্রাণ জীবনগত ও চৈতন্যগত প্রাণ। মৃত্যুকালে জীবনগত প্রাণের বিচ্ছেদ হয়, জীবনগত প্রাণের বিলোপে চৈতন্যগত ೬ftstve বিলুপ্ত হইয়া থাকে। মমুষ্যের নিদ্রাকালে চৈতন্যগত প্রাণ তাহাহইতে বিচ্ছিন্ন হয়, তাহার বিলুপ্তিবশতঃ জীবনগত প্রাণের বিলোপ হয় না। এস্থলে অপর