পাতা:কোরাণ শরিফ - তৃতীয় ভাগ.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২৪ কোরাণ শরিফ । এবং প্রচুর লুণ্ঠন সামগ্ৰী যে তাহারা তাহা গ্রহণ করিবে (পুরস্কার দিয়াছেন, ) এবং ঈশ্বর পরাক্রান্ত কৌশলময় হন। ১৯। পরমেশ্বর তোমাদের সম্বন্ধে প্রচুর লুণ্ঠন সামগ্রীর অঙ্গীকার করিয়াছেন যে তোমরা তাহা গ্রহণ করিবে, অনন্তর ইহা সত্বর তোমাদিগকে দিবেন, এবং তোমাদিগের হইতে লোকের হস্ত নিবারিত করিলেন, এবং যেন ( ইহ ) বিশ্বাসীদিগের জন্য নিদর্শন হয় ও তোমাদিগকে সরল পথ প্রদর্শন করে * । ২০ + এবং অন্য mať ku করেন। আবদুল্লা মগ্‌ফল বলেন "বৃক্ষ হইতে একটি শাখা হজরতের পৃষ্ঠে পতিত হয়, আমি হজরতের পৃষ্ঠভাগে দণ্ডায়মান ছিলাম, উক্ত শাখা তাহার পিঠ হইতে সরাইয়াছিলাম। র্তাহার ধৰ্ম্মবন্ধুগণ কোরেশদিগের যুদ্ধে প্রাণত্ত করিবেন ও কখন পলায়ন করিবেন না এরূপ অঙ্গীকার করিয়াছিলেন। সেই সময় হজরত বলিয়াছিলেন যে “ অদ্য তোমরা বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ লোক হইলে, “ এবং তিনি ইহাও বলিয়ছিলেন, “ এই বৃক্ষতলে যাহারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইল, তাঙ্গাদের কেহ নরকগামী হইবে না। ” এই অঙ্গীকারকে “ বেঅতরবৃজওয়ান “ বলে। পরমেশ্বর এই অঙ্গীকারে সন্তুষ্ট হন । (ত, হে, )

  • হজরত হোদয় fয়া হইতে ফিরিয়া আসিয়া খবিরে যুদ্ধযাত্রার আয়োজন করিলেন। চৌদশত লোক সঙ্গে করিয়া তিনি মদিন হইতে খবিরের দুর্গের অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিলেন, সহবা নামক স্থান হইতে মরহবা হইয়া চলিয়া যান। প্রত্যুষে হরজা প্রান্তরের পথ দিয়া খবিরের দুর্গের সন্নিহিত হন, তখন দুর্গবাসিগণ এ বিষয় কিছুই অবগত ছিল না, তাহারা দুর্গ হইতে বহির হইয়া উদ্যান ও শস্যক্ষেত্রের কার্য্যে লিপ্ত হইতেছিল। অকস্মাৎ এসলাম সৈন্য দেখিতে পাইয়। ব্যস্ত সমস্ত হওত দুর্গা,ভমুখে চলিয়া যায়। ইহুদিগণ দুর্গের রক্ষক ছিল, তখন মোসলমানমণ্ডলী শহীদের সঙ্গে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়া দুর্গ অধিকার করে। ভয়ঙ্কর যুদ্ধের পর হজরতের পক্ষে জয় লাভ হয়। প্রচুর ধন সম্পত্তি গৃহসামগ্রী ও আহাৰ্য্য বস্তু মোসলমানের অধিকার করেন। খবিরের দুর্গ সুদৃঢ় ছিল, বীরবর আলি কর্তৃক তাহ অধিকৃত হয়। আলি সেই দুর্গের এক লৌহ কপাট উৎপাটন