পাতা:কোর্‌-আন্‌ শরীফ-ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রক্ষালন ) করিয়া অধ্যেতা শুদ্ধ ভূমিতে শুদ্ধ সঙ্কল্পসহকারে পশ্চিমাভিমুখে বসিবেন। তিনি মস্জেদে বসিতে পারিলে উত্তম হয় ; কোর-আন শরীফকে বিশুদ্ধ উচ্চাসনের উপর অর্থাৎ রইল ইত্যাদির উপর সংস্থাপন করবেন ; প্রথমত: “অউজ বেল্লাহ" ( ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই ) ও "বেসমাল্লাহ" ( ঈশ্বরের নামে প্রবৃত্ত হইতেছি ) উচ্চারণ করিয়া, দীনভাবে ও বিনীত অন্তরে শুদ্ধরূপে পড়িবেন। অধ্যেতা “স্থর তওবা" ব্যতীত প্রত্যেক "সূরার” (অধ্যায়ের) পূৰ্ব্বে "বেসমাল্লাহ” বলিবেন, এবং অধ্যয়নকালে অন্য কোন কথা উচ্চারণ করিলে, পুনৰ্ব্বার পাঠারস্ত করার পূর্বে "বেসমাল্লাহু” বলিবেন, এবং ইহা বোধ করিবেন যে, তিনি পরমেশ্বরের সহিত কথ{ কহিতেছেন ও যেন তাহাকে দেখিতেছেন। যদি এরূপ অবস্থা না হয়, তবে তিনি মনে করিবেন যে, ঈশ্বর র্তাহাকে দেপিতেছেন ও নিষেধ বিধি করিতেছেন ; মুসংবাদজনক প্রবচনপাঠে প্রফুল্প হইবেন, এবং ভীতিজনক প্রবচন অধ্যয়নকালে ভীত ও রোরুদ্যমান হইবেন । মূল কোবু-আৰু শুদ্ধরূপে উচ্চারণ করিবার জন্য ত্ৰিশ বত্রিশ প্রকার আক্ষরিক চিহ্ন ব্যবহৃত হইয় থাকে। কোবু-আনের বঙ্গীয় অনুবাদপুস্তকে আরবীয় সেই সকল আক্ষরিক চিহ্ন ব্যবহারে প্রয়োজনাভাব বলিয়া তাহার প্রয়োগ হইল না। প্রত্যেক অয়তের অস্তে বিরাম চিহ্ন ব্যবহৃত হইয়াছে । কোবু-জানের প্রত্যেক স্থরার অন্তর্গত আয়ত সকলের সংখ্যা ১, ২, ৩, করিয়া প্রত্যেক আয়তের অস্তে ও সমুদায় আয়তের সংখ্যার সমষ্টি সূরার আরম্ভে লিখিত আছে । কো-অান অধ্যয়ন কালে বিশেষ বিশেষ আয়তে মস্তক অবনত করিয়! কিয়ৎক্ষণ বিরত থাকিতে হয়। এইরূপ নমন-কার্গাকে "রকু” বলে। কো-আন পাঠের বা মমাজের ব্যবচ্ছেদৰূপে "রকু" ব্যবহৃত হয়। স্বর সকলের প্রারম্ভে প্রত্যেক স্বরার “রকুর” সমষ্টি লিথিত আছে। কোর-আনের ভিন্ন ভিন্ন সুরার অন্তর্গত নিদিষ্ট ১২টি আয়তে সেজদার ( নমস্কারের ) বিধি আছে। কোর্-আন শরীফ ত্রিশ ভাগে বিভক্ত, সেই এক এক ভাগের নাম “সিপার"। প্রত্যেক ভাগকে আবার চারি অংশে পৃথক করা হইয়াছে। প্রত্যেক অংশের শেষ ভাগে ক্ৰমে “রোবা" ও "নোস্ফা" এবং “সোলোসা" (চতুর্থাংশ, অৰ্দ্ধাংশ এবং তৃতীয়াংশ ) এরূপ লিখিত আছে। যে ষে বচন হইতে "সিপারা" সকলের আরম্ভ, সেই সেই বচনের প্রথম শব্দানুসারে সেই সমস্ত সিপারার নাম হুইয়াছে। যথা “আলৰ্ম্ম৷” “সইয়কুলু” “তেলকবৃরোসোলো"। নরপত্তি হোজ্জাজের রাজত্বকালে র্তাহার আদেশে কোর-আনের এইরূপ বিভাগ হয়। আবার সমগ্র কোর-আন ৬০ ভাগে বিভক্ত, এই প্রত্যেক ভাগের নাম “খৰ্ব্ব’ ; এবং আরও অষ্টাদশ ভাগে বিভক্ত হইয়াছে, তাহাকে “মানকা” বলে। কোর-আন পাঠ ও তাহা ক্রমে মুখস্থ করিবার স্ববিধার জন্ত এই সকল বিভাগ হইয়াছে। মৃনকয়ে তিন দিন ও অনধিক চল্লিশ