*8、 কোৱ-আন । [ 8ls२ls२
- ABARAT
দাসের অনুরাগ তাহার হৃদয় বিদীর্ণ করিয়াছে। আমরা রাণীকেই স্পষ্টতুঃ বিপথগামিণী দর্শন করিতেছি । ( কিন্তু রাণীর নিকট না শুনিয়া আমরা সত্য নির্ণয় করিতে পারিতেছি না ) । ৩১ যখন রাণী তাহদের ছলের বিষয় শুনিল, তখন তাহদের নিকট (নিমন্ত্রণ করণ জন্য) লোক পাঠাইল, এবং উপাধান অবলম্বনে উপবিষ্ট হইবার স্থান ( নিমন্ত্রণ সভা ) প্ৰস্তুত করিল, এবং নিমন্ত্রিতাগণের প্রত্যেক জনাকে (ফলচ্ছেদন জন্য) এক এক খান ছুরিকা দিল । ( যখন মহিলাগণ হাস্যালাপে রত এবং ফল চ্ছেদন করিতে লাগিল, তখন রাণী দাস ইউসুফকে ) আদেশ করিল, ইহাদের সম্মুখে বাহির হইয়া আইস। তৎপর তাহারা যখন ইউসুফকে দেখিতে পাইল, তখন তাহাকে ( ধারণাতীত ) মহৎ প্ৰাপ্ত হইল, এবং ( এমত আত্ম-বিস্মৃত বিহবলা হইল যে, হস্তস্থিত। ফলের স্থানে ) আপন আপন হস্ত ক্ষত বিক্ষত করিল, এবং সকলে বলিয়া উঠিল, ধন্য ধন্য আললাহ ইনি---এই ইউসুফ মানব নহেন, ইনি এক জন মহা ফেরেস্তা । ৩২ ( তাহদের রক্তাক্ত হন্তের দিকে ইঙ্গিত করিয়া রাণী ) বলিল, ( হে আত্মবিশ্বতা, বিমুগ্ধা মহিলাগণ) আপনারাই কি তাহারা যাহারা ইউসুফ স্বম্বন্ধে আমার নিন্দাবাদ করিয়া থাকেন ? বস্তুতঃ ইহা সত্য যে আমি তাহার অনুরাগের আকাজ্যিক্ষনী হইয়াছিলাম। ( কিন্তু গোলাম ইউসুফ যেমন সৌন্দর্ঘ্যে অদ্বিতীয়, তদ্রুপ পবিত্রতাতেও অতুলনীয়, ) সে আমার (ন্যায় একজন রাণীর) অনুরাগের বিষয় জানিয়াও নিজকে অকলঙ্কিত अम्रिद्ध्छ्'। (এখন ইহাকে ভয় দেখাইয়া পরীক্ষা করা যাউক, ইউসুফকে শুনাইয়া রাণী বলিল, ) আমি তাহাকে যাহা আদেশ করিয়াছি, যদি সে তাহা পালন না করে, তাহা হইলে তাহাকে কারারুদ্ধ করা হইবে, এবং সে ( দোষী সাব্যস্ত হইয়া) হীন ব্যক্তিগণের অন্তর্গত হইবে।
