পাতা:ক্রমশ ফসিলের মত একটা শব্দ.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টুকরো টুকরো তুর্ভাগ্যের মতো ইত্ব রগুলো আমার অন্ধকার টালির ঘরে টুকরো টুকরো দুর্ভাগ্যের মতো সারাদিন ইতুরগুলো মিশে থাকে । কিংবা অমোঘ সর্বনাশের মতো সন্ধ্যায় সারবেঁধে সাধের বাগান থেকে মাটির ঘরে উঠে আসে - আমার স্বপ্নের বই-পত্রপত্রিকা পাণ্ডুলিপি চিঠিপত্র প্রেমিকার স্মৃতির ওপর নিদারুণ দুর্বলতা ওদের – কি ভীষণ, অসহায়ভাবে নারকোলের মতো সারারাত অামার চোপসানো ফুসফুস দুটোকেই কুরে কুরে চলে ওরা ! কিন্তু আমি প্রতিহিংসায় সেঁকোবিষ কাঠের কলের ফাদ পেতেও বারবার হেরে যাচ্ছি । অথচ ক্রমেই আমি বুঝতে পারছি আমার সমস্ত সত্তা ইস্পাতের ধারালো ইগুর হয়ে উঠছে। আমি অদ্ভুত ক্রতায় ইট চুন স্বরকি বালি সিমেন্ট রড খুজে চলেছি । আত্মীয় গাছগুলোকেই গুণে গুণে হিসেব ক’রছি কতোগুলো মজবুত দরজা জানলা আলমারি তৈরি করা যায়। কিংবা উচ্ছল ঢেউয়ের মতো ছাত্রছাত্রীদের কেবলই পরীক্ষা ক’রে দেখছি মন মন নিরেট কালো কয়লা গড়া যায় কিনা। অথবা শাইলকের মতো ভাবছি শ7সালো যুবতীর শরীর থেকে কতোটা লোভী মাংস কেটে আমার বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে রাখতে পারি। এভাবেই আলোকিত অট্টালিকা গ্রন্থাগার বিদ্যালয় বুক্ষ না রীর মধ্যে অসংখ্য ইদুর ইদুরী হয়ে আমি প্রতিমুহূর্তে চুপিসারে ঢুকে প’ড়ছি । কি একটা অদৃশু অস্থিরতা – ইদুরের হাত থেকে আমার, এবং আমার হাত থেকে পৃথিবীর কিছুতেই নিস্তার নেই। তাই কথা দিচ্ছি মা, তুমি এবার যেদিন অামার ঘরে বিষের গুলি রেখে যাবে, আমি আর পালিয়ে বেড়াবোনা - আরোগ্যকামী রুগীর সবুজ ইচ্ছের মতো সবগুলো খেয়ে নেবো । অন্তত একবার মেরুদণ্ড খাড়া ক’রে ধূর্ত ইন্থর ইদরীর কাছে আমি নিশ্চয়ই জেতবার চেষ্টা ক’রবো । \ }