পাতা:ক্রমশ ফসিলের মত একটা শব্দ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনের হিমঘরে দগদগে ধুনি জীবনের হিমঘরে এক-একটা বড়োসড়ো দগদগে ধুনি জললে যে-কোনো মানুষই সমস্ত মৃত্যুর মেরু সহজেই পার হয়ে যেতে পারে। গনগনে আঘাত-অপমানের লকলকে শিখাকে শুধু আজীবন জালিয়ে রাখতে হয় – শুধু ভেতরের অসংখ্য কাণ্ডাল চোখ দিয়ে ওই আশ্চর্য আগুনের ফুলগুলোকে শোকীর্ত মায়ের সর্বশেষ সস্তানের মমতায় ছুয়ে ছয়ে যাওয়া । সেইসব আণবিক ক্ষতর সূক্ষ্ম পাপড়িগুলো ক্রমশ শিশুর মতো স্নেহ কেড়ে কেড়ে বড় হয়ে উঠবে - জটিলতায় গভীরতায় তুলি ডুবিয়ে ডুবিয়ে যেমন শিল্পী যন্ত্রণার কণাগুলোকে লালন ক’রে চলে ! ওই ফুলগুলো তারপর পিরামিডের কৌণিক ত্রিতল পাথর হয়ে হয়ে জলন্ত ঈগলের মতো আকাশের বুকে উড়ে গিয়ে বিরাট আশ্রয়ের উত্তপ্ত ডান মেলে দেবে। তখন দধীচির মতো নিরাসক্ত-নিম্পূহ দর্শনে ঝাক ঝাক আত্মরক্ষার অমোঘ অস্ত্র-শস্ত্র গ’ড়ে নিতে পারবে মমির মতে শৈল্পিক মানুষ । বুকের খনির মধ্যে হীরের মতো শব্দ থেকে সংসারী চাকচিকের মেকি জৌলুস ক্রমশই ৰ’রে পড়ে সন্ন্যাসীর রুক্ষ পবিত্রতা ছেয়ে যাবে। জীবনের হিমঘরে-ঘরে অমনি ভয়ঙ্কর পুরোনো স্যাৎসেতে অন্ধকারে আঘাত-অপমানের লকলকে শিখাকে আজীবন বঁাচিয়ে রাখতে কিছু বড়োসড়ো দগদগে খুনি জলে জলে উঠবে। Sbo