পাতা:ক্রমশ ফসিলের মত একটা শব্দ.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থির বিশ্বাসের হাল একটা স্থির বিশ্বাসের হাল ধরবার আগেই গভীর সমুদ্রে ভেসে পড়লাম — দুঃসাহসী নাবিকের মতো এভাবেই জীবন নিয়ে ছিনিমিনি শুরু হ’য়ে গেছে ভালোবাসা পর্যায়ক্রমে বিদেশী যাত্রীর মতো নতুন বন্দরে নামছে উঠছে, কিছু সফলতা ঢেউয়ের মাথায় কখন সে তিমি হ’য়ে উকি দেবে জানা নেই, কেবলই রঙকরা ইস্পাতের খোলের মধ্যে হিম দুঃখেরা চুয়ে চুয়ে ঢুকে পড়ছে, দু'চোখে দূরবীনের ঝাপসা কঁাচে ঘুমন্ত সরীস্বপের মতো ভবিষ্যৎ জেগে আছে। বাতিঘর নক্ষত্রের ষড়যন্ত্রে আমার আত্মাকে আজ যেন বাক্সবন্দী ক’রে ঢালে গড়িয়ে দিয়েছে, কিন্তু নারীর মৃতদেহের মতো ঐ সব দিশারীকে শুধুই পাথর হয়ে চিতায় তুলে দেয়া যায়। আমি সমস্ত জল সমস্ত মাটি সমস্ত মানুষকে বুঝতে বুঝতে চলেছি তবু বুঝি সমস্ত মানুষ সমস্ত মাটি সমস্ত জলকে কখনই বোঝা যায় না, পৃথিবীর কোনো দোভাষীই কোনো দু’জনকে সবটুকু বুঝিয়ে উঠতে পারে না – কেননা কোনো মামুষেরই আজও সঠিক জানা নেই সেকি ব’লতে চায়, জানতে চায় । এভাবেই কোনো স্থির বিশ্বাসের হাল ধরবার আগে জীবনের শেষ বন্দরে পৌছে যেতে হবে – তবু আমার ভালোবাসা-সফলতা আমার অশ্র-আনন্দের ভাষা কাউকেই বোঝাতে পারবোনা । ২৩