পাতা:ক্রমশ ফসিলের মত একটা শব্দ.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাকতাড়য়া পুতে নিজেকেই ধুমকেতুর ধোয়াটে লেজের মতো প্রতিটি মাহুষেরু পেছনে জলবসন্ত থেকে ওঠা এবড়ো-খেবড়ো পথ প’ড়ে আছে – কোনোটি চ’লে গেছে ভালোবাসা-ঘৃণার জমির দিকে ময়ূর-সাপ হ’য়ে, অস্তিরিকতা-অভিনয়ের জমির দিকে কোনোটি চ’লে গেছে নদী-নর্দমা হ’য়ে জরিপের ফিতে ঈষর্ণয় লতপত ক’রছে মানুষের হাতে – চক্রাস্তের পেগ বুকের বাস্তুতে নিঃশব্দে গজিয়ে উঠছে। মদ গিলতে গিলতে ঝোপঝাড় বাড়ছে রাগী কোদালে কেটে ফেলছে মাতুষ । বউয়ের স্বাস্থ্যের জন্যে বীজ বুনে লোভী মরাইয়ে তুলে ফেলছে মানুষ । প্রতিবেশী গরুছাগল ঢুকে পড়লে ছুচোলো স্বার্থের বঁাশ কখনো বোলাচ্ছে কখনো পেটাচ্ছে মানুষ । টুকরো শিল্পের ছিটেফোটার মতো দু’একটা বুলবুলি টিয়া উড়ে এলে নিজের কাকতাড়-য়া পুতে নিজেকেই দাত খি চোচ্ছে মানুষ । পনেরো-বিশ ফুট দাতাল বন্যা ভালো ক’রে ন্যাত বুলিয়ে দিলে হাহাকারের হাটে হেলিকপ্টার থেকে থুতু ফেলার মতো পচা চি ড়েগুড় লুফে নিচ্ছে মানুষ। জল ম’রে গেলে ভিজে শ্মশানের খড়ে মাটি লেপে বহুরূপীর মতো খেমটা নাচতে নাচতে বিসজনে যাচ্ছে উলঙ্গ মানুষ । — ভালোবাসার মার্বেল পাথরে জম্পেশ ইমারত তুলবে ভাবলেও বছর-বিয়োনো জল জড়িয়ে থাকছে কোমরভাঙা মানুষকে । এ-ভাবেই প্রতিটি মানুষের পেছনে ধোয়াটে ধুমকেতুর বিকলাঙ্গ লেজের মতো জলবসন্ত থেকে ওঠা এবড়ো-খেবড়ো পথ প’ড়ে থাকছে । ૨૨