তৈরির ভিতর এসে গিয়েছিল। ঐ দিকটাই শুধু চলনপথে পড়েনি। ইলার সখে এখানেই কেয়াগাছগুলো লাগানো হয়েছিল। কিন্তু কুমুদিনীর হত্যাকারী সর্প-প্রকৃতির হলেও কলেবরে তো মনুষ্যাকৃতিই, জাত সাপ তো আর নয় যে কেয়াবনের মধ্যের গহ্বরে অদৃশ্য হবে? কোন্ পথে সে গেল? হলো কি তবে? ম্যাজিসিয়ান? সয়তান? প্রেত? যোগসিদ্ধ?—কি সে?
ইলার অবস্থা অবর্ণনীয়। সে যে কি অবস্থা—সে আর বলা যায় না। মুহুর্মুহুঃ সে মূর্চ্ছিত হতে লাগলো। মেয়েটাকে সে না পারে ধরে রাখতে, না পারে ছাড়তে। আমার হাতে রেখেও আর সে যেন নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। যখন জ্ঞান হচ্ছে, অর্দ্ধ অভিভূত তন্দ্রাচ্ছন্নের মতই পড়ে থাকছে, কখনও বিড়বিড় করে কি যেন সব বলছে, কখনও কেঁদে ভাসাচ্ছে, কার কাছে যেন ব্যাকুল হয়ে দয়া প্রার্থনা করছে, সে যে কি মর্ম্মান্তিক দৃশ্য—সহ্য করাই দায়।
দিব্যেন্দুদের বাড়ীতে এসে যেটুকু ক্ষীণ দীপশিখা জ্বালিয়ে তুলতে পেরেছিলেম, একটি পিস্তলের গুলির নির্ম্মম ফুৎকারে এক মুহূর্ত্তেই নিভে গেল!
এ কথা কি স্বপ্নেও ভেবেছিলেম, “ভাগ্যং ফলতি সর্ব্বত্রং—ন বিদ্যা ন চ পৌরুষম্।” এক্ষেত্রে বিধিলিপির কথা না ভেবে তো মানুষের উপায় নেই।
সাত
এ-রকম একটা অস্বাভাবিক কাণ্ড ঘটে গেলে সমস্ত পরিস্থিতিটাই যে অস্বাভাবিক রকমে উলটে যাবে, সেটা কিছুই বিচিত্র নয়। পুলিশ-হাঙ্গামা, সুদূর সদরে লাস চালান দেওয়া, সাক্ষী-সাবুদ নিয়ে প্রাণান্তকর টানাটানি, সদর কোর্টে, করোনারের কোর্টে, পুলিশ