পাতা:ক্রৌঞ্চ-মিথুনের মিলন-সেতু - অনুরূপা দেবী.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ক্রৌঞ্চ-মিথুনের মিলন-সেতু
১১৪

 ······না দাদা! বলা এত সহজ নয়! আমি আপনাকে সকল কথা লিখে জানাবো, মুখে বলতে বড্ড যেন বাধছে।”

 সংক্ষেপে উত্তর দিলাম, “বেশ।”

নয়

সবিনয় নিবেদন,

 পরম পূজনীয় দাদা! আপনাকে বলেছিলেম যে, ‘বলা সহজ নয়, লিখে জানাবো’, কিন্তু যার মূলেই প্রচণ্ড গলদ ও বিরাট লজ্জা বিপুল সঙ্কোচ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তাকে কেমন করে ভদ্রসমাজের লোকচক্ষে প্রকটিত হতে দিই বলুন তো? দ্বিধায় ঘৃণায় অপমানে ইচ্ছে করছে নিজ কুলের এই কলঙ্ক প্রচার করবার পূর্ব্বেই কেন আমি মরলেম না। যে এতগুলো হত্যা করতে পারলে সে ইচ্ছে করেই না আমায় দগ্ধ করবার নিষ্ঠুর আনন্দে আমায় একটুখানি তার সেই অব্যর্থ বিষ—সে বলেছিল, ক্লিওপেট্রা নাকি ঐ নাম দিয়েছিল এবং বহু ব্যাপারে ব্যবহারও করেছিল বিপক্ষতাকারীদের উপর, কোন্ বৈদ্যের কাছ থেকে চুরি করে ঐ বিষপাত্রটি সংগ্রহ করেছিল, আর ওরই জোরে নিজের অনভিপ্রেত অনেককেই ও নিঃশব্দে ও অসন্দিগ্ধভাবে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছে, আজও দিচ্চে অথচ আমায় যে দিচ্ছে না, একি আমার প্রতি করুণায়? না, না, সে-কথা ভুলেও ভাববেন না। কৃপা, করুণা ঐ পাষাণ-প্রকৃতি পাঠান-সর্দারের পুত্রের মনের একটা কোণাতেও ছিটে-ফোঁটা পর্য্যন্ত নেই। কর্কশ কঠোর ফ্রণ্টিয়ারের রুক্ষ পার্ব্বত্য-প্রকৃতির মতই তার দুর্দ্দান্ত সন্তান সে, যারা হাসতে হাসতে একটা মুরগীর বাচ্চার গলার চাইতেও মানুষের বুকে অনায়াস আনন্দে ছুরি বসিয়ে দেয়। মরণার্ত্ত শিকারকে পায়ে করে ঠেলে দিয়ে সেই কাঁচা রক্তমাখা ছুরি নিজের