আমার পরিশ্রম ব্যর্থ হয়নি। পৃথিবীর একটা প্রচণ্ডতম গোপন মারণাস্ত্রকে পরাভূত করে মানব সমাজের মহদুপকার করার একটা সুমহান প্রচেষ্টায় ভগবান আমার হাত দিয়ে এত বড় আবিষ্কার তবে সত্য সত্যই করিয়ে নিয়েছেন? আর যাঁর দেওয়া সেই আরবী লেখা ফরমূলা? দুহাত জোড় করেই তাঁকে প্রণতি জানালাম, তিনি সেখ সাদুল্লা, সেই অজ্ঞাতকুলশীল মিশরী ফকির।
দুই
হ্যাঁ, এইবার দিব্যেন্দুর কথা আরম্ভ করি। দিব্যেন্দু অনেকদিন নীরব থেকে বোধ করি আমার নীরবতা তার চাইতেও গভীরতর দেখেই অল্প কিছুদিন আগে সেটা ভঙ্গ করেছে।
হঠাৎ একদিন তার সেই কোন্ না-জানা জায়গা থেকে এক পত্র এসে হাজির হলো। কাগজের পাতা ভর্ত্তি বিস্তর অনুযোগ, অর্থাৎ কিনা কেন আমি তাকে ভুলে গেলুম? কি এমন সে অপরাধ করেছে ইত্যাদি বহু গঞ্জনা দিয়েছে, তাতে ঠিক ঐ সব কথাই আমিও তো তাকে ফেরত দিতে পারতাম, তা কিন্তু আমি দিলাম না, কি হবে তার অনুযোগগুলি তাকেই প্রত্যর্পণ করে। যখন তার দাবী আমার বন্ধুপ্রেমেরই উপর! এইবা দাবী করে কজন এ পৃথিবীতে? অন্য কারু কি হয় জানিনে, নির্ব্বান্ধব আমি, আমার কাছে সত্যকার হৃদয়বৃত্তির দেনা-পাওনা তো বলতে গেলে কারু সঙ্গেই বড় একটা নেই, অবশ্য কৃত্রিম এবং স্বার্থঘটিত একতরফা দেনা —সে কিছু কিছু সংসারে বাস করলে থেকেই থাকে। শুনেছি, এমন কি পাহাড়ের গুহায় বাস করেও মুনিঋষিরাও সব সময়ে স্বার্থপর সংসারীদের দৈবাৎ-দৃষ্ট হয়ে হাত এড়াতে পেরে ওঠেন না। একবারটি ওদের ওখানে যাবার জন্যে সনির্ব্বন্ধ নিমন্ত্রণ তার কাছ থেকে তো