পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/১০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(২)

মধ্যে এক খণ্ড বারি!—এক তীরে তার
পুণ্য ভূমি ইউরোপ জুড়ায় নয়ন,
রঞ্জিত স্বভাবে, শিল্পে—চারু অলঙ্কৃতা!
অন্য তীরে প্রকৃতির প্রকাণ্ড শ্মশান,
মরুভূমে ভয়ঙ্কৃৃতা “আফ্রিকা” ভীষণ!
বিধির অনন্ত লীলা! কে বলিবে হায়!
এই দুই রাজ্য এক শিল্পীর সৃজন!
লজ্জিতা প্রকৃতি বুঝি তাই রোষ-ভরে,
হতভাগ্য “আফ্রিকায়” করিতে মগন
অনন্ত জলধি-জলে, দুই মহা শাখা
করিলা প্রেরণ দুই সূচী-রন্ধ্র পথে—
উত্তরে “ভূমধ্য,”—পূর্ব্বে “রক্তিম-সাগর”।
দুঃখিনী আফ্রিকা ভয়ে পড়িল কাঁদিয়া
“এসিয়া”-চরণ-তলে; ভারত-গর্ভিনী
দিলেন অভয়, রাখি স্কন্ধের উপরে
চরণ-কনিষ্ঠাঙ্গুলি; অশক্ত বারীশ
বলে টলাইতে তারে! সেই দিন হ’তে,
পুণ্যবতী “এসিয়ার” শুভ পরশনে,
মরু-ভূমি-মধ্যে মৃগতৃষ্ণিকার মত,
সোণার মিশর রাজ্য হইল সৃজন।