এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(১৭)
এত প্রলোভন!—সখি! পড়িলাম আমি,
অজগর-আকর্ষণে, সরল হরিণী।
“হেন কালে চারি দিকে সমর-অনল
জ্বলিল; সিজার এই মিশরে বসিয়া
দেখিল অনল-শিখা। বৈশ্বানর রূপে
ঝাঁপ দিল সখি! সেই বহ্ণির ভিতরে।
নিবাইল কটাক্ষেতে শোণিত-প্রবাহে
সে অনল! বাহুবলে আপনি সমুদ্র
রহিয়াছে বন্দী যার রাজ্যের ভিতরে,
এই ক্ষুদ্র অগ্নিশিখা কি করিবে তারে?
বিজয়-পতাকা তুলি; ভীম সিংহনাদে
কাঁপায়ে ভূধর-শ্রেণী সুদূর উত্তরে;
ডুবায়ে জলধি-মন্দ্র অদূর দক্ষিণে;
ছড়ায়ে গৌরব-ছটা দিগ্ দিগন্তরে;
ঢালিয়া আনন্দ-স্রোত অজস্র ধারায়
রাজ পথে; প্রবেশিল বীর অহঙ্কারে,
দীগ্বিজয়ী বীরবর রোম-রাজধানী।
সতী সহধর্ম্মিণীর স্বপ্ন উপেক্ষিয়া
চলিল সেনেট-গৃহে,—হায়! জাল-মুখে
প্রলোভনে মুগ্ধ ক্ষিপ্ত কেশরী যেমতি,