পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৩২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(২৪)

পাইলাম, কিন্তু সখি! সেই সম্মিলনে
উথলিল যেই ঢল প্রেম-প্রস্রবণে—
হৃদয়-প্লাবিনী! সেই সলিল-প্রবাহে
ভেসে গেল মম কুল, শীল, লজ্জা, ভয়;
ভেসে গেল সেই বেগে ভূত, ভবিষ্যত,
বর্ত্তমান উভয়ের; হইল চঞ্চল
বেগে, রোম, মিশরের রাজ-সিংহাসন;
ভেসে গেল সেই স্রোতে সপত্নী‘সিল্‌ভিয়া’।[১]
ভাসিয়া ভাসিয়া সেই প্রণয়-প্লাবনে
আসিলাম মিশরেতে, প্লাবন-প্রবাহ
সখি! মিশিল সাগরে। স্বজনি! তখন
সকলি অনন্ত! হায়, অনন্ত প্রেমের
অনন্ত লহরী-লীলা! অনন্ত আমোদ
বিরাজিত নিরন্তর অধরে,নয়নে!
অনন্ত, অতৃপ্ত সুখ যুগল-হৃদয়ে!
ভাবিলাম মনে,—প্রেম, সুখ, রাজ্য, ধন,
প্রেমিক-জীবন, হায়! অনন্ত সকল!
যে কাম-সরসী, সখি! করিনু নির্ম্মাণ,

  1. এণ্টনির প্রথমা পত্নী।