পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৪৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৩৫)

চাহিনু আকাশ-পানে। দেখিলাম সখি!
অপূর্ব্ব তপন এবে উদিল গগনে
উজ্জ্বলিয়া দশ দিশ্‌। করে আকৰ্ষিয়া
সেই মার্ত্তণ্ড আমারে তুলিল আকাশে,
সখি! আমি শোভিলাম শশধর-রূপে
বামে সবিতার। হায় এমন সময়ে
অকস্মাৎ রাহু আসি গ্রাসিল তাহারে।
হইয়া আশ্রয়হীনা আমি অভাগিনী
পড়িতেছিলাম বেগে, অৰ্দ্ধ পথে সখি!
বীর-সূর্য্য অন্য জন, হৃদয় পাতিয়া,
লইল আমারে। আমি আনন্দে মাতিয়া,
পরাইনু প্রেম-হার গলায় তাহার।
কিন্তু কি কুক্ষণে হায়! বলিতে না পারি!
সে হার-পরশে বীর হৃদয় তাহার,—
ফাটিত যে উরস্ত্রাণ রণরঙ্গে মাতি;—
হইল বিলাসে যেন নারী সুকুমারী!
পিধান হইতে অসি পড়িল খসিয়া,
(অরাতি মস্তকে ভিন্ন, নামে নাহি যাহা,)
কুসুম শয্যায়। শেষে মাথার মুকুট,
পড়িল খসিয়া ঐ ভূমধ্য-সাগরে,