পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৪৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৩৭)

এই ছায়া আপনার আসিয়াছে বুঝি,
বিরহ-আতপ-তাপে যুড়াতে আমায়।’
‘নিমজ্জিত হ’ক রোম টাইবরের জলে,
রাজ্য, প্রণয়িনী সহ। এই রাজ্য মম’,—
বলিলা হৃদয়ে ধরি হৃদয় আমার।
‘প্রণয়িনী ক্লিওপেট্রা; ইহ জীবনের
সুখ এই’,– পুনঃ নাথ চুম্বিলা অধর;
‘জীবন তোমার প্রেম, বিরহ, মরণ!’ .
 “দূরে গেল অভিমান, রমণীর প্রেম-
স্রোতে অভিমান, সখি! বালির বন্ধন।
বলিলাম, ‘সত্য নাথ! এই হৃদয়ের
তুমি অধীশ্বর, কিন্তু বলিব কেমনে
এই ক্ষুদ্র রাজ্য তব? অনন্ত জলধি-
জলে যেই শশধর করে ক্রীড়া, নাথ!
ক্ষুদ্র সরসীর নীরে মিটিবে কেমনে
ক্রীড়া-সাধ, প্রাণেশ্বর! সেই শশাঙ্কের?
প্রণয়-বারিদ তুমি! তুমি যদি তবে
রাখ সসলিলা এই সরসী তোমার,
যোগাবে অনন্ত বারি, এই প্রেমাধিনী’।
 “মৈশরী-হৃদয়াকাশে প্রণয়ের শশী