পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৫৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৪৫)

বলিলাম—তোমারে কি? না হয় স্মরণ,
চারমিয়ন্! বলিলাম—‘আসিলে এণ্টনি,
অনুতাপে ক্লিওপেট্রা ত্যজিল জীবন,
বলিও প্রাণেশে মম; বলিও তাঁহারে,
মৈশরীর শেষ ভিক্ষা—ক্ষমিও এণ্টনি!’
সমাধির দ্বারে সখি! পড়িল অর্গল।
 “আসিল এণ্টনি; সখি! নাথের সে মূর্ত্তি
স্মরিলে এখনো মম বিদরে হৃদয়!
প্রসারিত নেত্রদ্বয়, উন্মত্ত, উজ্জ্বল!
প্রশস্ত ললাট যেন ধবল প্রস্তর,
নাহি রক্ত-চিহ্ন মাত্র! বিষাদ লিখেছে
রেখা কপোলে, কপালে, অনুকারী যেন
বাৰ্দ্ধক্যে! চিত্রেছে শুক্লে মস্তক সুন্দর!
এত রূপান্তর সখি! এই কত দিনে
গিয়াছে নাথের যেন কতই বৎসর!
শুনিলা সখীর মুখে, স্তম্ভিতের মত,—
‘অনুতাপে ক্লিওপেট্রা, ত্যজিল জীবন,
মৈশরীর শেষ ভিক্ষা, ক্ষমিও এণ্টনি’।
‘ক্ষমিলাম’——বলি নাথ হৃদয় চাপিয়া
দুই হাতে, প্রবেশিলা রাজ-হর্ম্মে বেগে,