পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৫৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৪৬)

বিদ্যুতের গতি! হেন কালে চারি দিগে
উঠিল নগরে সখি! ভীম কোলাহল।
ভূমধ্য-সাগর যেন তীর অতিক্রমি
প্লাবিল মিশর! ত্রাসে বাতায়ন পথে
দেখিলাম, নহে সিন্ধু, সৈন্য সিজারের,
লুটিতেছে হতভাগ্য নগর আমার।
অপূর্ব্ব সিজার-গতি! চক্ষুর নিমেষে
ঘেরিল সমস্ত পুরী, সমাধি আমার;—
পড়িনু ব্যাধের জালে আমি কুরঙ্গিনী!
কিন্তু ও কি সহচরি? সমাধির তলে?
ওই শয্যার উপরে?—মুমূর্ষু এণ্টনি!
চাহিলাম ঝাঁপ দিতে শয্যার উপরে,
তুমি ধরিলে অমনি। তুলিলাম নাথে
সমাধি উপরে, হায়! সমাধি উপরে!
এই ছিল লেখা সখি! কপালে আমার,
কে জানিত! প্রাণনাথ বলিলা আমারে—
সেই স্বর প্রিয়সখি! অস্ফুট দুর্ব্বল!—
মৈশরি! ভবের লীলা ফুরাইল আজি
এণ্টনির; পৃথিবীতে প্রেয়সি! আমার
আর নাহি প্রয়োজন; ফুরাইল কাল,