পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৫৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৪৮)

মানব-গৌরব-রবি হ’লো অস্তমিত।
‘প্রাণেশ্বর! প্রাণনাথ! এণ্টনি আমার!’—
ডাকিলাম বারম্বার উন্মাদিনী-প্রায়;
‘প্রাণেশ্বর! প্রাণনাথ! এণ্টনি আমার!’—
শুনিলাম উত্তরিল সমাধি-ভবন।
প্রাণে——শ্বর!——প্রাণ!——”
  আহা! সহিল না আর;
অবশ মস্তক-ভরে, গ্রীবা দুঃখিনীর
পড়িল ভাঙ্গিয়া, বামা পড়িল ভূতলে,
ব্যাধ-শরে বিদ্ধ যেন বন-কপোতিনী!
 অতি ব্যস্ত সখিদ্বয় ধরাধরি করি,
তুলিল শয্যায় শ্বেত প্রস্তর-পুত্তলী।
উরঃ-বাস, কটীবন্ধ, করিয়া মোচন,
শীতল তুষার-বারি, উরসে, বদনে,
বরষিল; কিন্তু নাহি পাইল চেতন
অভাগিনী! তবু নাহি মেলিল নয়ন।
সহচরীদ্বয় দুঃখে বসিয়া নিকটে
কান্দিতেছে সখী-শোকে,—হৃদয় বিকল!
অকস্মাৎ তীরবেগে, বসিয়া শয্যায়,—
মুষ্টিবদ্ধ করদ্বয়, বিস্তৃত নয়ন—