পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৫৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৫০)

একটী সুবর্ণ-কৌটা খুলিল যেমতি,
ক্ষুদ্র বিষধর এক ফণা বিস্তারিয়া,
বসাইল বিষদন্ত কোমল হৃদয়ে,—
রূপে মুগ্ধ ফণী যেন করিল চুম্বন!
সখীদ্বয় উচ্চৈঃস্বরে করিল চীৎকার,
ভূতলে ঢলিয়া আহা! পড়িল মৈশরী।
“এই বেশে চার্‌মিয়ন্! ভেটিয়া ছিলাম
নাথে চিদনস্ তীরে; এই বেশে আজি
চলিলাম প্রাণনাথে ভেটিতে আবার।”
বলিতে বলিতে বিষে, কালিমা সঞ্চার,
করিল অতুল রূপে; যেই রূপে হায়!
সমস্ত রোমান-রাজ্য—প্রাচীনা পৃথিবী—
ছিল বিমোহিত; যেই রূপে জলে, স্থলে,
হ’লো প্রজ্জ্বলিত কত সমর-অনল;
কতই বিপ্লবে রোম হ’লো বিপ্লাবিত;
নিবিল সে রূপ আজি, মরিল মৈশরী,
সমর্পিয়া কালে পূর্ণ যৌবন-রতন;
অপূর্ব্ব রমণী-কীর্ত্তি—রূপে, গুণে, দোষে!—
রাখি ভূমণ্ডলে হায়! রাখি প্রতিবিম্ব
অসংখ্য প্রস্তরে, পটে, কাব্যে, ইতিহাসে।

সম্পূর্ণম।