পাতা:খয়বরের জঙ্গ নামা - দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

আদি ও আসল ১৩৯ ) খয়বরের জঙ্গনামা নবীর সীপাই দেখে হাঁসিতে লাগিল। ঠাট্টা করিয়া বড় কহিতে লাগিল ৯ মােহাম্মদ এই ঘড়ি সীপাই লইয়া । লড়িতে আইল বুঝি হেম্মত করিয়া ৯ বুঝি মাের দস্ত বাজু নাহিক দেখিল। তেকারণে মাের সাথে জঙ্গেতে সাজিল # এত বলি ঘােড়া। কুদাইয়া বড় জোরে ৷ আসিয়া পৌছিল দুই কাতার ভিতরে। ডাকিয়া কহিল তুমি শুন মােহাম্মদ ॥ দেখিব তােমার আজি মর্দমীর হদ # তােমার সীপাইগণে নাহি'দেখি সাজ। লড়িতে তাদের সাথে হয় মাের লাজ ৮ এতেক কহিল যদি জহুদ খােমার ॥ গােস্বা দেলে রাসুলুল্লা যান লড়িবার * দোস্ত মােহাম্মদ কহে শুন সৰ্বজন৷ মােহাম্মদ মােস্তফার জন্সের সাজন ত্রিপদী নবী যান ময়দানেতে, গােল হৈল আসমানেতে, জিব্রীল আইল তখন। বেহেশতের সাজ লিয়া, তাহে দিল পরাইয়া, ঠাঁই যত আবরণ # মাথায় জড়াও তাজ, সূৰ্য দেখে পায় লাজ, কিবা শােভ সে চান্দ বদন। দুই দিকে জুলফিকার, নিশি যেন অন্ধকার, দুই সাজ কাজল বরণ * সবজা রঙ্গ কাবা গায়, আঁখি না ঠাহর তায়, কে পারে করিতে নিরীক্ষণ । কোমরে পটকা বান্ধে, দেখিয়া ফেরেশতা কান্দে, উকি মারে। দেখে তারাগণ * চড়িয়া আরবী ঘােড়া, বেহেস্তের জিন কোড়া বাদশাই লেবাস সমান। নব দুই চান্দ যেন, ঘােড়ার রেকাব হেন, দুই পাও দিলেন আপন * ঘােড়ার পায়ের তলে, মােম। মত শিল গলে, চলে সবে করিয়া গর্জন। সবজা রঙ্গ ঘােড়র পরে, চান্দ যেন জ্যোতি করে, পূর্ণিমার রজনী যেমন ফেরেস্তা আসমান হৈতে, উতরিল জমিনেতে, আইল গেলমান হুরগণ ॥ অঙ্গের সুবাসে তঁার, আমােদিত সংসার, মােহ যায় হুর। পরীগণ ৪ ফেরেস্তা আপােষে কয়, যদি এই মহােদয়, পূর্বভাগে। না হইত সৃজন। স্বর্গ মর্ত দিন রাত, পরী ও আদম জাত,