পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>さの পরিষ্কার পরচ্ছিন্নতা ঘৃত দ্বারা প্রস্তুত লুচি ও মিঠাই গ্রহণ করিয়া কত লোক অল্প পীড়ায় দেহ বিসর্জন করিয়াছেন কিম্বা করিতেছেন তাহার ইয়ত্তা কি ? কলাই ব্যতীত ধাতু পাত্রে রন্ধন নিরাপদ নহে । কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে, আলিপুরের স্বপ্রসিদ্ধ উকিল ৬অtষুতোষ বিশ্বাস মহাশয়ের বাটতে ভোজ গ্রহণ করিয়া অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি অকালে দেহ ত্যাগ করেন ; এবং বহু ব্যক্তি মরণাপন্ন হইয়াছিলেন । অনুসন্ধানে প্রকাশ হয় যে, কোন কোন রন্ধন পাত্রের কলাই উঠিয়া যাওয়ায় খাদ্য তাম্র কর্তৃক বিষাক্ত হইয়াছিল এবং ষে স্থানে খাদ্য রন্ধনের পরে রক্ষা হইয়াছিল তাহার নিকটে বিষাক্ত বীজানু অবস্থিত ছিল । ঐ বীজামুও কোন কোন খাদ্য বিষাক্ত করিয়াছিল । কোন ধাতু পাত্রে অম্ল রন্ধন কিম্বা গ্রহণ করা কখনও ব্যবস্থা করিতে নাই । গাছ গাছড়ার অন্নদ্বারা এলুমিনাম পাত্রের কলঙ্ক উঠে না সত্য,কিন্তু ক্ষারদ্বারা এই পাত্রের কলঙ্ক ত্বরায় উখিত হইরা থাকে । বহু স্থলে মাংস পিতলের পাত্রে রন্ধন হয়, ইহাও যুক্তিসঙ্গত নহে, কারণ মাংসে সাধারণতঃ দধি মিশ্রিত হয়। দধি ব্যতীতও মাংস হইতে, অনেকক্ষণ জাল দেওয়ার পরে, এক প্রকার আম উৎপন্ন হইয়া থাকে। রন্ধনের নিমিত্ত মৃৎপাত্র ও কলাই করা লোহ পাত্ৰ সৰ্ব্বোত্তম । কলাই করা তাম্র বা পিত্বল পাত্র তৎপরে ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। আহারের পূৰ্ব্বে হস্ত ও মুখ প্রক্ষালণের রীতি অতি উত্তম। কারণ হস্তে বিশেষত নখে ব্যাধির বীজামু নিহিত থাকিতে পারে । সম্ভব হইলে, ভোজনের পূৰ্ব্বে সাবান দ্বারা হস্ত ও মুখ ধৌত করা উচিৎ ৷ আহারের পরে পুনঃ হস্ত ও মুখ উত্তমরূপে ধৌত করা অতিশয় অবিশুক। মাংস গ্রহণ করিয়া দস্ত কিঞ্চিৎ লবণ সহযোগে বুরুসের দ্বারা ঘর্ষণ করিয়া মুখ ধৌত করা অবহু কৰ্ত্তব্য । তাহ না করিলে দস্ত কোন কোন কীট কর্তৃক আক্রাস্ত হইয়া ত্বরায় বিনষ্ট হয় । মাছ মাংস গ্রহণ না করিয়াও এই উপায়ে ভোজনের পরে এবং প্রাতে নিদ্রা হইতে উঠিয়া