পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় অামিৰ খাদ্য অমিষ ও নিরামিষ খাদ্য সম্বন্ধে সভ্য মানবসমাজে চিরকাল মতভেদ অাছে । অমাবদ্ধমানকাল হইতে মানুষ আমিষ ও নিরামিষভোজী ছিল, তাহার বহু প্রমাণ বৰ্ত্তমান । মানবস্বষ্টির প্রথমেই কৃষি ও রন্ধনের আবিষ্কার হয় নাই । বহু পরে ও বহু গবেষণার ফলে সভ্য মানবসমাজ কৃষি ও রন্ধনবিদ্যা আবিষ্কার করিযাছেন, এবং নানারূপ বীজ ও মূল উৎপন্ন করিয়া, রন্ধন দ্বারা গ্রহোণোপযোগী করিয়াছেন । মানবসমাজ অতি শৈশবকালে বহুফল ও মৃগয়া দ্বারা জীবন ধারণ করিত বলিয়া অনুমান হয় । ফলের পরিমাণ বোধ হয় সীমাবদ্ধ ছিল । বিশেষতঃ ৰানর ও পাখীর প্রতিযোগিতায় ফল সংগ্রহ করা আদিম মনুষ্যের পক্ষে সহজসাধ্য ছিল না । সুতরাং মৃগয়া অপরিহার্য্য ছিল যাহারা মনুষ্য ও বানরের গঠন সাদৃশু দেখিয়া মানুষ ও বানরকে ফলমুলভোজী বলেন তাহাদের সহিত আমরা একমত হইতে পারি না । কারণ মানুষ ও বানরের সাদৃশু থাকিলেও পার্থক্যও আছে । মানুষ বানরের মত পরিপাচ্য কচি পত্র ও পরিপক্ক ফল সংগ্ৰহ কল্লিতে পারিত, ইহা আমাদের বিশ্বাস হয় না । কেহ কেহ বলিতে পারেন যে গো মহিষ গাছে চড়িতে পারে না, তবে তাতারা কি করিয়া ভূমির ঘাস খাইয়। বাচিয়া থাকে ? ইহার এককথায় উত্তর এই যে বানরও ঘাস খায় না, সুতরাং মানুষ কখনও ঘাস জীর্ণ করিতে পারিত না । মানুষ যে বানরের মত কেবল কচি পত্র গ্রহণ করিয়া পরিপাক করিতে পারিত, ইহাও বিশ্বাসযোগ্য বলিয়া বোধ হয় না। বানরের সহিত মানুষের সাদৃশু সামান্ত, কিন্তু বানরের ঘনিষ্ঠ ভল্ল,ক জাতির কোন কোন স্থলে মাছই প্রধান খাদ্য । অধিকন্তু আমরা বানরকে নিরামিষভোজীই বা কি করিয়া বলি ?