পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমিষ খাদ্য ● ● বানরের উকুন খাওয়া বোধ হয় সকলেই দেখিয়াছেন । স্বচক্ষে বানরকে ফড়িং ধরিয়া খাইতে দেখিয়াছি । অভ্যাস দ্বারা গৃহপালিত বানর মাছ মাংসও থাইতে শিখে । বানর পাখীর ডিম, ভীমরুল ও বোলত ধরিয়া খায় দেখিয়াছি । বিশুদ্ধ নিরামিষভোজী জন্তুর পায়ে সাধারণতঃ ক্ষুর থাকে। মাংসাশী জন্তুর হাত পায়ে শিকার ধরিবার জন্ত অঙ্গুলি আছে। কেহ বলেন মাংসাশী জন্তুর অঙ্গুলীতে কঠিন, তীক্ষ, স্বচল নখ থাকে, মচুষোর অঙ্গুলীতে স্বচল নখ নাই সুতরাং মানুষ মাংসাশী নহে। বিশুদ্ধ মাংসাশী জন্তুর পক্ষে স্থচল নখের প্রয়োজন থাকিতে পারে কিন্তু মানুষকে আমরা বিশুদ্ধ মাংসাশী জীব বলিতেছি না । তবে আদিম অবস্থায়, তাহাদের নখ যে অপেক্ষাকৃত অধিক কঠিন বা তীক্ষু ছিল, তাহাতে কেহ সন্দেহ করিবেন না । মনুষ্য চিরকালই অন্তান্ত জন্তু অপেক্ষা অনেক বুদ্ধিমান ছিলেন, তাহাতেও বোধ হয় কাহারও সন্দেহ নাই । সুতরাং তাহাদের নখ সুতীক্ষু ন হইলেও তাহা দ্বারা শিকার ধরিতে পারিতেন না কিংবা দণ্ডদ্বারা শিকার মারিতে পারিতেন না, এ কথা আমরা বিশ্বাস করি না । মনুষ্য জাতিব মাংস অতি প্রিয় ছিল ; তাহারা শিকার অন্বেষণে বহু দেশদেশান্তরে গমনাগমন করিতেন । এই জন্তই পৃথিবীর সর্বত্র মমুষ্যের বাস । কিন্তু তৃণ বা পত্রভোজী জন্তুর আহার সংগ্ৰহ করিতে বহুদূর পরিচারণ করিতে হয় না । একটা ব্যাঘ্র শিকার অন্বেষণে দৈনিক দশ ক্রোশ পথও পর্য্যটন করে, কিন্তু আহারার্থ এক নিরামিষভোজী জন্তু এক ক্রোশের অধিক স্থান অতিক্রম করে না । জন্তুতত্ত্ববিদগণ বলেন যে মনুষ্যের পাকস্থলী ও অন্ত্রের গঠন বিশুদ্ধ নিরামিষভোজী জন্তুর ন্তায় অত বৃহৎ নহে ; পক্ষাস্তরে মাংসাশী জন্তুর অনুরূপ । বিশুদ্ধ নিরামিষভোজী জন্তুর একাধিক পাকস্থলী । মনুষ্যের মাংসাশী জন্তুর দ্যায় একটা পাকস্থলী ৷ যে সব জস্তুর একটা পাকস্থলী তাহাদের খাদ্যে অধিক পরিমাণে মেদকারী পদার্থ না থাকিলে তাহাদের দেহ রক্ষা হয় না । আর যাহাদের দুইটী