পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ు অামিষ খাদ্য আৰ্য্যগণের অতিথি সৎকার মাংস ব্যতীত সমাধা হইত না । এই জন্ত অতিথির নাম গোয় । পরবত্তী আধ্যাত্মিক উন্নতির কালে বুদ্ধদেবের বিধি অনুসারে মাছ মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ হয় । তৎপরে পুনঃ বহুসংখ্যক আর্য্য মহাত্মা পূজায় বলিদানরূপে মাংস গ্রহণ প্ৰবৰ্ত্তন করেন। সংসারী লোকের পক্ষে অাময ও নিরামিষ উভয় প্রকার ভোজনই প্রয়োজন । ম্যালেরিয়াক্রান্ত বঙ্গদেশে মাগুর মাছের ঝোল অপরিহার্য্য । মস্তিষ্ক চালনায় স্থবিজ্ঞ বাঙ্গালির পক্ষে প্রত্যহ মৎস্ত ও মধ্যে মধ্যে মাংসের ঝোল ব্যবস্থা না করিলে চলিবে কেন ? সুতরাং দেহ রক্ষা কিম্বা দেহের উন্নতি বিধানার্থ বিভিন্ন রুচির ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মাছ মাংস ভক্ষণ কখনও নিন্দনীয় হইতে পারে না । পুৰ্ব্ববঙ্গের লোক কচ্ছপ খান বলিয়া পশ্চিমবঙ্গের লোক নিন্দ করেন । সেইরূপ পুৰ্ব্ববঙ্গের লোকও পশ্চিমবঙ্গের লোকের গুগলী খাওয়াকেও নিন্দাজনক মনে করেন । বিহারের নিম্নশ্রেণীর লোক ইন্দুব ও ভেক ভক্ষণ করে । মুসলমান গোমাংস খান এই জন্ত পশ্চিমদেশে হিন্দু-মুসলমানে নিত্য কলহ ও মনোমালিন্ত । “আপনা রুচি খান।” ইহাতে অদ্য লোকের কখনও ঘৃণা করা উচিত নহে । সকল দেশেই আহার ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে মতভেদ আছে । ইহার সামঞ্জস্তই বাঞ্ছনীয়। যাহারা খাদ্যের স্বতন্ত্রতা প্রচার করিয়৷ এই খাদ্য-বিরোধ বুদ্ধি বা উৎপন্ন করেন, তাহদের দ্বারা সমাজের ঘোর অকল্যাণ হইতেছে । ইহ স্বীকার্য্য যে জাস্তব খাদ্য যেরূপ নানারূপ ব্যাধির বীজদ্বারা আক্রান্ত হয়, উদ্ভিজ্জ খাদ্য সেরূপ হয় না । সুতরাং মাংস নিৰ্ব্বাচন বা রন্ধন সম্বন্ধে বিশেষ সাবধান হওয়া কৰ্ত্তব্য । দুগ্ধও জাস্তব খাদ্য । ইহাতেও সামান্ত কারণে নানারূপ পীড়ার বীজ আশ্রয় করে । প্রতি বৎসর অসংখ্য শিশুসস্তান দুষিত দুগ্ধ পান করিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হয় । পক্ষাস্তরে শিশুর উপযোগী মকাই, যব, বই প্রভৃতি শস্তের মিহি চুর্ণের