পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় মাং সন মাংস অতি লঘুপাচ্য খাদ্য। অনেক মশলা ও স্বত সংযোগ করিয়া রন্ধন করিলে মাংস গুরুপাচ্য হয় । সিদ্ধ মাংস কিঞ্চিৎ রাই বা মরিচ সংযোগে আহার করিলে শীঘ্র পরিপাক হয় । দগ্ধ মাংসও সুপাচ্য । পশুর মাংস অপেক্ষা পক্ষীর মাংস সহজে জীর্ণ হয় । কাচা মাংসের রসের স্তায় লঘু পাচ্য পথ্য অার নাই। অন্ত কোন পথ্য যখন রোগী জীর্ণ করিতে অক্ষম হয়, তখন সে কাচা মাংসের রস পরিপাক করিতে পারে। উত্তাপে প্রোটিড় জমাট হয় এবং সুস্থ ব্যক্তির পাকস্থলীর রস ইহাকে তরল করিয়া জলের সহিত দ্রব করিতে পারে । অত্যধিক তাপে পক্ক ভাজা জিনিষ আতিশয় গুরুপাচ্য হয় । বাধিগ্রস্ত জন্তুর মাংস কখন ও গ্রহণ করা উচিত নয় । মৃগয়tলব্ধ মাংস অতি উপাদেয় ও স্বাস্থ্যকর । কচি পশুর মাংস সুপাচ্য হইলেও খাদ্যগুণে উচ্চ নহে। পূর্ণ যৌবন প্রাপ্ত হৃষ্টপুষ্ট পশুর মাংস ( যাহাতে চৰ্ব্বি উৎপন্ন হইয়াছে ) ইউরোপ ও মার্কিনদেশে শ্রেষ্ঠ বলিয়া গৃহীত হয় । কচি পশুর মাংসে চৰ্ব্বির ভাগ অতি সামান্ত । সুস্থ দেহবিশিষ্ট লোকের পক্ষে চৰ্ব্বিও অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য । বলা বাহুল্য যে তৈল অপেক্ষা চৰ্ব্বি ও স্বত অধিক পরিমাণে জীর্ণ করা যায় । অসুস্থ লোক স্বত চৰ্ব্বি পর্য্যস্তও হজম করিতে পারে না । তাহাদের পক্ষে কচি পশুর মাংস ব্যবস্থাই যুক্তিযুক্ত। যুক্তরাজ্যের কৃষি বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত বিবরণী পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে কচি পশুর ংসে প্রোটিডের ভাগ কিঞ্চিৎ অধিক । মেডিকেল কলেজ দ্বারা পরীক্ষিত ছাগমাংসে ( সম্ভবতঃ ইহা ছাগ-বৎস ) শতকরা ২৪ ভাগ প্রোটিড় প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। যদিও এই পরিমাণে মেদকারী পদার্থ অত্যধিক ৰলিয়া বোধ হয়, তথাপি নিঃসন্দেহে বলা যায় যে মেদকারিত