পাতা:খুনী কে - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২০
দারোগার দপ্তর, ১৬৫ সংখ্যা।

দামোদর দাঁড়াইয়া ছিলেন। বন্দুকের তলাটা মাটীতে কতখানি বসিয়া গিয়াছে দেখিয়াছেন?”

 এইরূপ দেখিতে দেখিতে সহসা আর কতকগুলি চিহ্ন আমার নয়নপথে পতিত হইল। আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া বলিয়া উঠিলাম, “এগুলি কিসের দাগ? নিশ্চয়ই কোন লোক ধীরে ধীরে এদিকে আসিয়াছিলেন। এই যে তিনি আবার প্রস্থান করিয়াছেন। এই দাগগুলি কতদূর আছে একবার দেখিতে হইল।”

 এই বলিয়া আমি সেই দাগ দেখিতে দেখিতে অগ্রসর হইলাম। অবশেষে নিকটস্থ মাঠে উপস্থিত হইলাম। সে মাঠজমি ভিজা ছিল না। সুতরাং আর কোন পদচিহ্ন দেখিতে পাইলাম না। আমি তখন জলার ধারে আসিলাম। লালমোহনকে কহিলাম, “মৃতদেহ পাইবার পর, এই স্থান আপনার দ্বারা মাড়ামাড়ি হইয়াছে, তাহা না হইলে এই স্থান হইতেই এই মকর্দ্দমার কিনারা হইয়া যাইত।”

 লালমোহনকে পুনর্ব্বার কহিলাম, “এখন একবার সেই সাক্ষী প্রজার সহিত দেখা করিতে ইচ্ছা করি। আমায় তথা লইয়া চলুন?”

 লালমোহন হাস্য করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আর কষ্ট করিয়া কি হইবে? সে যাহা জানে তাহা ত আগেই বলিয়াছে।”

 আমার বড় রাগ হইল। আমি বলিলাম, “কিজন্য দেখা করিতে চাহিতেছি তাহা আপনি জানিলেন কিরূপে? আপনি দেখা করাইয়া দিউন, তাহার পর সমস্তই জানিতে পারিবেন।”

 লা। আপনার কি এখনও বোধ হইতেছে যে, এই হত্যা যতীন্দ্রের দ্বারা হয় নাই?