পাতা:খুনী কে - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
দারোগার দপ্তর, ১৬৫ সংখ্যা।

দিকে চাহিয়া, মস্তক অবনত করিলেন ও পরে বলিলেন, “যিনি খুন হইয়াছেন, আমি তাঁহারই একমাত্র পুত্র। বাবা যে দিন খুন হন, আমি তাহার পূর্ব্বের তিন দিন বাড়ীতে ছিলাম না। বিশেষ কোন কার্য্যের জন্য আমায় কলিকাতায় যাইতে হইয়াছিল। সোমবার প্রাতে আমি কলিকাতা ত্যাগ করি। যখন আমি বাড়ীতে উপস্থিত হইলাম, তখন বাবা বাড়ীতে ছিলেন না। শুনিলাম, তিনি তখনই পাখী শীকারে গিয়াছেন। বাবা শীকার করিতে বড় ভালবাসিতেন। আমি জানিতাম যে, তিনি জলার ধারেই শীকার করেন। সুতরাং আমিও বাড়ীর বাহির হইলাম, পথে আমাদের এক চাকরের সহিত দেখা হইল। সে আমায় নমস্কার করিল। কিন্তু সে যে বাবাকে আমার খানিক আগেই যাইতে দেখিয়াছে, সে কথা কিছু বলিল না। জলার নিকটে পৌঁছিয়া আমি বাবাকে দেখিতে পাইলাম। তাঁহার নিকটে যাইলাম। আমাকে হঠাৎ সেখানে দেখিয়া বাবার রাগ হইল। তিনি বিনা কারণে আমায় কতকগুলি তিরস্কার করিলেন। আমারও রাগ হইল। আমিও তাঁহাকে দুই চারিটী কথা বললাম। ইহাতে তিনি আরও ক্রোধান্ধ হইয়া, আমাকে মারিবার নিমিত্ত বন্দুক তুলিলেন। আমি পলায়ন করিলাম। জলা হইতে প্রায় অর্দ্ধ ক্রোশ দূরে আমাদের এক প্রজা আছে। আমি তাহারই বাড়ীতে যাইবার ইচ্ছা করিয়াছিলাম কিন্তু কিছুদুর যাইতে না যাইতে পশ্চাতে এক ভয়ানক চীৎকার ধ্বনি শুনিতে পাইলাম। কণ্ঠস্বর বাবার বলিয়া বোধ হইল। আমি আর অগ্রসর হইতে পারিলাম না; দৌড়িয়া পুনরায় জলার ধারে উপস্থিত