নাই। কন্যাবিয়োগে আপনি যে কাতর হইবেন, ইহাতে আর আশ্চর্য্য কি? এখন আমি যাহা জিজ্ঞাসা করি, তাহার উত্তর দিন; আপনার কন্যার লাস কোথায় বলুন?”
আত্ম সংবরণ করিয়া শোভন সিং বলিলেন,—“সেই কথাই বলিতেছি,—“রূপসীর লাস পাওয়া যাইতেছে না।”
আশ্চর্য্যান্বিতা হইয়া আমি জিজ্ঞাসা করিলাম,—“সে কি! লাস পাওয়া যাইতেছে না কি?”
কাঁদ কাঁদ হইয়া শোভন সিং বলিলেন,—“এখান হইতে কিছু দূরে আমার এক আত্মীয় বাস করেন, রূপসী আজ প্রাতে তাঁহাদের বাড়ীতে গিয়াছিল। বাছা আমার সেই অবধি আর ফিরে নাই”
আ। তবে খুন হইয়াছে বলিতেছেন কেন? আপনার কন্যা নিরুদ্দেশ হইয়াছে। হয় সে নিজে পলায়ন করিয়াছে, নচেৎ কোন লোক তাহাকে লইয়া পলায়ন করিয়াছে।
শো। না মহাশয়! সকল কথআ শুনিলে বুঝিতে পারিবেন। রূপসী আর এ জগতে নাই।
এই বলিয়া শোভন সিং আবার চীৎকার করিয়া কাঁদিয়া উঠিলন। কন্যাবিয়োগে তিনি বড়ই কাতর হইয়া পড়িলেন। কিছুক্ষণ পরে শান্ত হইয়া আবার বলিতে লাগিলেন,—“প্রাতে রূপসী একজন সঙ্গিনী লইয়া এ বাড়ী হইতে বাহির হয়। পথে এক বৃদ্ধা তাহার সহিত আলাপ করে এবং উভয়কেই ভুলাইয়া লইয়া যায়। যে রূপসীর সঙ্গে গিয়াছিল, অনেকক্ষণ পরে সে ফিরিয়া আসিয়াছে, কিন্ত রূপসী আর ফিরে নাই। গৌরীর মুখে যাহা এখন শুনিতেছি, তাহা বড়ই ভয়ানক!”