কোচমানের কথায় আন্তরিক প্রীত হইলাম এবং ধীরে ধীরে আসিয়া পুনরায় গাড়ীতে উঠিয়া বসিলাম। কোচমান ভাবিল, আমি বুঝি প্রস্রাব করিতে গিয়াছিলাম। সেই ভাবিয়া সে বলিল, বাবু, প্রস্রাব কর্তে কতদূরে গিয়েছিলেন, এই অন্ধকারে কে আপনাকে দেখ্তে পেত, পেলেই বা আপনার কি কর্তো?”
আমি সে কথার কোন উত্তর করিলাম না, বলিলাম, “যদি ঠিক সন্ধান পাইয়া থাক, তবে একটু শীঘ্র লইয়া চল। রাত্রি অনেক হইয়া গিয়াছে। এমন সময় সেখানে গিয়া যে আজ কার্য্য সিদ্ধ করিতে পারি, এমন ত বোধ হয় না।”
কোচমান কোন উত্তর না দিয়া অশ্বে কশাঘাত করিল। অশ্বদ্বয় ঊর্দ্ধশ্বাসে দৌড়িল। প্রায় আধঘণ্টা পরে একটী প্রকাণ্ড বাগানের ভাঙ্গা ফটকের নিকট গাড়ী থামাইয়া কোচমান বলিল, “হুজুর, এই সেই বাগান। এই বাগানের ভিতর একখানা ভাঙ্গা বাড়ী আছে। বুড়ী মেয়ে দুটীকে নিয়ে সেই বাড়ীতে গিয়েছিল। তার পর কি হ’ল আমি জানি না।”
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “বাগানখানি কার?”
কো। আজ্ঞে সে কথা বল্তে পার্লাম না। এদিকে আমি আর কখনও আসি নাই।
আ। নিকটে কোন বাড়ী আছে?
কো। আজ্ঞে না। চার্দিকেই বাগান।
আ। বাগান থাকিলে নিশ্চয়ই মালি আছে, তাহাদের বাস করিবার ঘরও আছে। সকালে কোন মালীর সহিত তোমার দেখা হইয়াছিল?