পাতা:খুন না চুরি? - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
দারোগার দপ্তর ১৯৩ সংখ্যা।

চিন্তা করিতে লাগিলেন। পরে ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন,—“রূপবতী পত্নী সত্ত্বেও শুনিয়াছি, শোভন সিং অপর এক বেশ্যার প্রেমে মুগ্ধ হইয়াছিল। সে তাহারই সমবয়স্ক, দেখিতে নিতান্ত মন্দ নহে, কিন্তু তাঁহার স্ত্রীর সহিত কোন বিষয়েই তাহার তুলনা হয় না। এ ছাড়া, আমি আর কোন রমণীর সহিত শোভন সিংএর ঘনিষ্টতা আছে কি না জানি না। একে বেশ্যা, তাহাতে বয়স হইয়াছে, তাহার উপর তাহার অবস্থাও এখন হীন হইয়া পড়িয়াছে। সুতরাং তাহাকে যে বুড়ীর মত দেখাইবে, আশ্চর্য্য কি? কিম্বা সে হয় ত বৃদ্ধার ছদ্মবেশ করিয়া থাকিবে। কেন না, গোপনে বালিকা ভুলাইয়া লইয়া যাওয়া বড় সহজ ব্যাপার নহে। যে সে লোকের উপর এমন কাজের ভার দেওয়া যায় না। আমার বোধ হয়, সেই মাগীরই এই কাজ।”

 আ। আপনি তাহার বাড়ী জানেন?

 লা। চেষ্টা করিয়া বাহির করিব। শুনিয়াছিলাম, মেছুয়াবাজারে তাহার বাসা। তাহার নাম কামিনী।

 আমি সন্তুষ্ট হইলাম। তাঁহাকে কামিনীর সদ্ধান করিতে বলিলাম। লাল সিং তখনই বিদায় লইলেন।


সপ্তম পরিচ্ছেদ।

 বেলা প্রায় চারিটার সময় লাল সিং পুনরায় আমার নিকট আগমন করিলেন। তাঁহার মুখ দেখিয়াই আমি বুঝিতে পারিলাম যে, তিনি কার্য্যে সফল হইয়াছেন।