আমি বুঝিলাম, আগন্তুক দালাল। কিছু পাইবার প্রত্যাশায় আমাকে লইয়া যাইতে চায়। বাড়ীর ভিতর যাওয়া যুক্তিসিদ্ধ নহে মনে করিয়া আমি বাহিরেই কামিনী সহ দেখা করিতে ইচ্ছা করিপাম। লোকটাকে বলিলাম,—“বাপু, তুমি আমাকে যা মনে ক’রেছ, আমি তা নয়। তবে যখন আমার কাছে এসেছ, তখন যদি আমার একটা কাজ কর, আমি তোমায় সন্তুষ্ট করিব।”
শশব্যস্তে সে বলিয়া উঠিল,—“কি কাজ বলুন?”
আমি বলিলাম, “ঐ বাড়ীতে কামিনী নামে একটা মেয়েমানুষ আছে জান?”
সে যেন মুখ বিকৃত করিল। কিন্তু তখনই আত্মসংবরণ করিয়া বলিল, “আজ্ঞে হাঁ, জানি বই কি? আগে ছিল ভাল—এখন বাতে পঙ্গু।”
আমি বলিলাম, “কামিনীকে কোনরূপে আমার কাছে আনিতে পার? আমি বাড়ীর ভিতর গিয়া তাহার সঙ্গে দেখা করিতে পারিব না।”
লোকটা কিছু কালা, আমার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। পরে বলিল, “কি বলিয়া ডাকিয়া আনিব? আপনাকে সে কি চেনে?”
আ। আমাকে সে চেনে না, কোন রকম কৌশল করিয়া তাহাকে আনিতে হইবে।
লো। কোথা দেখা করিবেন? এই রাস্তায়?
আ। না, তাহারও উপায় তোমায় করিতে হইবে।
লো। কি উপায় করি?
আ। তোমাদের কোন ঘর এখানে নাই?