আমি তখন বলিলাম, “যখন কাজটা করেছিলে, তখন কি এ সকল কথা ভেবেছিলে? জান না কি, ইংরেজ রাজত্বে দোষ করিলে শাস্তি পাইতেই হইবে, কিছুতেই নিষ্কৃতি পাইবে না।”
আমার কথায় কামিনী কাঁদিয়া উঠিল। পরে হাত জোড় করিয়া বলিল; “দোহাই বাবা! আমার বেশী দোষ নয় বাবা। পেটের দায়ে একটা হতভাগা সন্ন্যাসীর কথায় আমি মেয়ে দুটীকে তার কাছে নিয়ে গিয়েছিলুম। কে জানে এমন হবে?”
আমি ধমক দিয়া বলিলাম, “এখন কান্না রাখ, আমি যাহা বলি, তাহার উত্তর দাও। দুটী বালিকাকে নিয়ে গিয়েছিলে বটে, কিন্ত একটী ত ফিরে এসেছে। অপরটী কি হ’লো?
কা। কেমন করে বলি? আমি মেয়ে দুটীকে তার কাছে দিয়ে চলে এসেছিলেম।
আ। কত টাকা পেয়েছিলে?
কা। দশ টাকা।
আ। কে দিল?
কা। সেই সন্ন্যাসী।
আ। তাহাকে চিন্তে পার্বে।
কা। হাঁ—দেখ লেই চিন্তে পার্বো।
আ। সকল কথা গোড়া থেকে খুলে বল। কিন্তু সাবধান, মিথ্যা বলিও না। যদি জানিতে পারি যে, মিছা বল্ছো, তাহলেই তোমায় জেল দিব।
কা। না বাবা, আমি মিছা বলবো না। সন্ন্যাসীর কথায় রাজী হয়ে আমি মেয়ে দুটীকে ধরিবার চেষ্টা করি। দুই দিন তাদের বাড়ীর কাছে কাছে ঘুরেও ধর্তে পারি নাই। শেষে একদিন