পাতা:খৃষ্ট - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অজিতকুমার চক্রবর্তী ব্রহ্মবিদ্যালয় (১৩১৮) গ্রন্থে লিখিয়াছেন: ‘১৩১৬ সালে মহাপুরুষদিগের জন্ম কিংবা মৃত্যু দিনে তাঁহাদিগের চরিত ও উপদেশ আলোচনার জন্য [শান্তিনিকেতনে] উৎসব করা স্থির হইল। খৃষ্টমাসে প্রথম খৃষ্টোৎসব হইল। তার পরে চৈতন্য ও কবীরের উৎসব হইয়াছিল। সকল মহাপুরুষকেই ভালো করিয়া জানিবার ও বুঝিবার সংকল্প হইতেই এ অনুষ্ঠানের সৃষ্টি।’

 এই সময় হইতে শান্তিনিকেতনে নিয়মিতভাবে খৃষ্ট-জন্মদিনে উৎসব অনুষ্ঠিত হইয়া আসিতেছে। বিভিন্ন বর্ষে এই উৎসবে রবীন্দ্রনাথের ভাষণ যতদুর সংগ্রহ করা গিয়াছে তাহা এই গ্রন্থে সংকলিত হইল।


অভিভাষণ

১. যিশুচরিত। ‘শান্তিনিকেতন আশ্রমে ১৯১০ খৃষ্টাব্দের খৃষ্টোৎসবের দিনে কথিত বক্তৃতার সারমর্ম।’ ভাদ্র ১৮৩৩ শক (১৩১৮) সংখ্যা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত। অজিতকুমার চক্রবর্তী -প্রণীত ‘খৃষ্ট’ গ্রন্থের ভূমিকারূপে এই রচনা ব্যবহৃত।

২. খৃষ্টধর্ম। ‘খৃষ্টজন্মদিনে শান্তিনিকেতন আশ্রমে কথিত।’ ১৩২১ পৌষ-সংখ্যা সবুজপত্রে প্রকাশিত।

৩. খৃষ্টোৎসব। ১৩৩০ চৈত্র-সংখ্যা শান্তিনিকেতন পত্রে প্রকাশিত।

৪. মানবসম্বন্ধের দেবতা। এই অভিভাষণ ‘খৃষ্টোৎসব’ নামে ১৩৩৮ আষাঢ়-শ্রাবণ সংখ্যা মুক্তধারা পত্রে প্রথম প্রকাশিত হয়; পরে ঈষৎ পরিবর্তিত রূপে ‘মানবসম্বন্ধের দেবতা’ নামে ১৩৪০ বৈশাখ-সংখ্যা বিচিত্রা পত্রে প্রকাশ পায়; তাহাই এই গ্রন্থে পুনর্মুদ্রিত হইল।

৫. বড়োদিন। ১৩৩৯ মাঘ-সংখ্যা প্রবাসী পত্রে প্রকাশিত।

৬. খৃষ্ট। ১৩৪৩ চৈত্র-সংখ্যা প্রবাসীতে প্রকাশিত।

৭৩