পাতা:গল্পগুচ্ছ (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ఏ0శి& অত্যন্ত ক্লান্ত ও ক্ষধাত । দিনকাল ভালো না, এ কথা পানেই নানা রকম বিপদের আশঙ্কা সত্ত্বেও, গহিণী তাকে থাকতে দিলেন। তাকে খাইয়ে-দাইয়ে কতার একটা এন্ডির চাদরও গায়ে দেবার জন্য দিলেন। ছেলেটি শীতে কাঁপছিল । । f পরদিন সকালে তো অধ্যাপক এলাহাবাদ থেকে ফিরে এলেন। নিজের বাড়িতে পলিসের সমাবেশ দেখে অবাক। ব্যাপার কী ? পালিসকতা বললেন, ‘দেখন, আপনার স্মটি তো কম নন। তিনি একজন এনাকিস্ট পলাতক ছেলেকে আশ্রয় দিয়েছেন। নিশ্চয়ই তাঁরও যোগ আছে এতে। অধ্যাপক অত্যন্ত বিৱত হয়ে উঠলেন। তিনি সমানেই বলে যেতে লাগলেন, না, না, আমার সাণী অতিশয় ভালোমানুষ, তিনি কী করে এসবে যোগ দেবেন ?” | ‘তবুও ছাড়াছাড়ি নেই। অধ্যাপককে তখনি আদালতে যেতে হল। সেখানে গিয়ে দেখলেন সেই ছেলেটির গায়ে তাঁরই নিজের গায়ের এন্ডির চাদর। দেখে তো ' তাঁর চক্ষস্থির। তিনি চে’চিয়ে উঠলেন, ‘এই তো আমার এন্ডির চাদর।” ছেলেটিকে পলিস হাজতে নিয়ে চলে গেল।’ গরদেব এই পর্যন্ত বলে আমার দিকে তাকিয়ে খাব হাসতে লাগলেন। আমার বললেন, “কি রে, এ মেয়েটিকে চিনতে পারছিস ?” গরদেব যখন গল্পটি আরম্ভ করেছিলেন তখন ধরতেই পারি নি যে তিনি কোথাকার কথা বলছেন । এরই দু-তিন দিন পর আবার এক সন্ধ্যায় শ্যামলীতে গিয়েছি। যাওয়ামারই হঠাৎ আমাকে দেখেই বলে উঠলেন, “দেখ লাবি, চাদরটাও পাওয়া গেছে। ছেলেটি কিন্তু অকৃতজ্ঞ নয়, চাদরটা জেল থেকেই পাসেল করে পাঠিয়ে দিয়েছে।’ লিখবার ক্ষমতা আমার নেই। তিনি যখন গল্পটি বলছিলেন, তখন তাঁর বলার ভঙ্গী আর ভাষার মাধ্য অপব পরিবেশ সটি করেছিল। তাঁর বলার ভঙ্গীটি কানে আজও ভেসে আসছে। — আনন্দমতি। দেশ, ২৪ শ্রাবণ ১৩৫৯ একটি পলট পাঠিয়েছিলেন পত্রে পরে সবিখ্যাত কথাসাহিত্যিক বনফল ওরফে শ্ৰীবলাইচাঁদ মনখোপাধ্যায়কে ’৯৪ অনেক পলট শেষ পযন্ত গদ্য-কাব্য ও পদ্য-কথিকায় সংক্ষেপ আকার-এ নিয়ে রয়েছে শেষের কাব্যগুলোতে ১s লেখা হয়ে ওঠে নি’ এমন একটি গলে্পর খসড়া শ্রীরানী চন্দের নিকট বিবত করেন ১৭ মে ১৯৪১ তারিখে, “আলাপচারী রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে (প্রথম সংস্করণ প ১০৪-১০৭) উহা লিপিবন্ধ আছে। গল্পটা আমার মনে এসেছিল যখন সাউথ আমেরিকায় ছিলাম।” i শান্তিনিকেতনের পবেতন অধ্যাপক মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন– “আমি পণ্ডিতমহাশয় ও সতীশকে গুটিকয়েক গল্পের পলট দিয়া গল্প লিখাইয়াছি।’ দ্রষ্টব্য : স্মতি, মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্রসংগ্রহ। অন্যত্র দেখিতে পাই-- , . . . . . . . রবীন্দ্রনাথ যৌতুক গল্পের পলটটি শরৎকুমারীকে দেন এবং উহা লইয়া তাঁহাকে একটি গল্প রচনা করিতে অনুরোধ করেন। এই অনুরোধ-মত পাঁচ-সাত দিনের.