পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sqb গল্পগুচ্ছ অতলপশা অন্ধকারের মধ্যে ষোলোকলা চাঁদের সমস্ত আলোক স্তরে স্তরে আবদ্ধ হইয়া আছে, তাহার এক রশিমও হারাইয়া যায় নাই ; তাই পণিমার উজ্জলতা অপেক্ষা অমাবস্যার কালিমা পরিপণতর- ইত্যাদি। অমল নিজের সকল লেখাই সকলের কাছে প্রকাশ করে এবং চার তাহা করে না-পর্ণিমা-অমাবস্যার তুলনার মধ্যে কি সেই কথাটার আভাস আছে। ر এ দিকে এই পরিবারের তৃতীয় ব্যক্তি ভূপতি কোনো আসন্ন ঋণের তাগিদ হইতে মন্তিলাভের জন্য তাহার পরম বন্ধ মতিলালের কাছে গিয়াছিল। মতিলালকে সংকটের সময় ভূপতি কয়েক হাজার টাকা ধার দিয়াছিল—সেদিন অত্যন্ত বিব্রত হইয়া সেই টাকাটা চাহিতে গিয়াছিল। মতিলাল নানের পর গা খালিয়া পাখার হাওয়া লাগাইতেছিল এবং একটা কাঠের বাক্সর উপর কাগজ মেলিয়া অতি ছোটো অক্ষরে সহস্র দরগানাম লিখিতেছিল। ভূপতিকে দেখিয়া অত্যন্ত হাদ্যতার পারে কহিল, "এসো এসো— আজকাল তো তোমার দেখাই পাবার জো নেই।” কথা বলছ। এর মধ্যে তোমার কাছ থেকে কিছ নিয়েছি নাকি।" ভূপতি সাল-তারিখ সমরণ করাইয়া দিলে মতিলাল কহিল, “ওঃ, সেটা তো অনেকদিন হল তামাদি হয়ে গেছে।” ভূপতির চক্ষে তাহার চতুদিকের চেহারা সমস্ত যেন বদল হইয়া গেল। সংসারের যে অংশ হইতে মুখোশ খসিয়া পড়িল সে দিকটা দেখিয়া আতকে ভূপতির শরীর কণ্টকিত হইয়া উঠিল। হঠাৎ বন্যা আসিয়া পড়িলে ভীত ব্যক্তি যেখানে সকলের চেয়ে উচ্চ চড়া দেখে সেইখানে যেমন ছটিয়া যায়, সংশয়াকান্ত বহিঃসংসার হইতে ভূপতি তেমনি বেগে অন্তঃপরে প্রবেশ করিল ; মনে মনে কহিল, আর যাই হোক, চার তো আমাকে বঞ্চনা করিবে না।’ t চার তখন খাটে বসিয়া কোলের উপর বালিশ এবং বালিশের উপর খাতা রাখিয়া ক:কিয়া পড়িয়া একমনে লিখিতেছিল। ভূপতি যখন নিতান্ত তাহার পাশে আসিয়া দড়িাইল তখনই তাহার চেতনা হইল, তাড়াতাড়ি তাহার খাতাটা পায়ের নীচে চাপিয়া বসিল । । -- মনে যখন বেদনা থাকে তখন অলপ আঘাতেই গরে্তর ব্যথা বোধ হয়। চার এমন অনাবশ্যক সত্বরতার সহিত তাহার লেখা গোপন করিল দেখিয়া ভূপতির মনে शाछठा । ভূপতি ধীরে ধীরে খাটের উপর চারীর পাশে বসিল। চার তাহার রচনাল্লোতে অনপেক্ষিত বাধা পাইয়া এবং ভূপতির কাছে হঠাৎ খাতা লুকাইবার ব্যস্ততায় অপ্রতিভ হইয়া কোনো কথাই জোগাইয়া উঠিতে পারিল না। সেদিন ভূপতির নিজের কিছু দিবার বা কহিবার ছিল না। সে রিক্তহস্তে চারর নিকটে প্রাথী হইয়া আসিয়াছিল। চারার কাছ হইতে আশংকাধর্মী ভালোবাসার একটা-কোনো প্রশন, একটা-কিছ জাদর পাইলেই তাহার ক্ষত-যন্ত্রণায় ঔষধ পড়িত। কিন্তু হ্যাদে লক্ষী হৈল লক্ষীছাড়া, এক মহত্যের প্রয়োজনে প্রতিভাণ্ডারের চাৰি চায় যেন কোনোখানে খাজিয়া পাইল না। উভয়ের সকঠিন মৌনে ঘরের নীরবতা अठान्ठ निर्मावप्ल शईय़ा आनिज । । -