পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটা আষাঢ়ে গল্প ఏ లి নিবাপিত হইয়া গেল— চারি দিকের লোকপ্রবাহ পবাপেক্ষা দ্বিগণ স্তৰখ গম্ভীর অনভূত হইল। কোটালের পত্র এবং সদাগরের পত্র ব্যাকুল হইয়া রাজপত্রকে কহিল, “ভাই সাঙতি, এই নিরানন্দ ভূমিতে আর এক দণ্ড নয়। এখানে আর দই দিন থাকিলে মাঝে মাঝে আপনাকে পশ করিয়া দেখিতে হইবে জীবিত আছি কি না।” রাজপত্র কহিল, "না ভাই, আমার কৌতুহল হইতেছে। ইহারা মানুষের মতো দেখিতে— ইহাদের মধ্যে এক-ফোঁটা জীবন্ত পদার্থ আছে কি না একবার নাড়া দিয়া দেখিতে হইবে।” G এমনি তো কিছুকাল যায়। কিন্তু এই তিনটে বিদেশী যবেক কোনো নিয়মের মধ্যেই ধরা দেয় না। যেখানে যখন ওঠা, বসা, মুখ ফেরানো, উপড়ে হওয়া, চিৎ হওয়া, মাথা নাড়া, ডিগবাজি খাওয়া উচিত, ইহারা তাহার কিছই করে না; বরং সকৌতুকে নিরীক্ষণ করে এবং হাসে । এই-সমস্ত যথাবিহিত অশেষ ক্লিয়াকলাপের মধ্যে যে-একটি দিগগজ গাম্ভীৰ্য আছে ইহারা তম্বারা অভিভূত হয় না। একদিন টক্কা সাহেব গোলাম আসিয়া রাজপত্র, কোটালের পত্র এবং সদাগরের পত্রকে হাঁড়ির মতো গলা করিয়া অবিচলিত গম্ভীরমুখে জিজ্ঞাসা করিল, “তোমরা বিধানমতে চলিতে ছ না কেন ।” তিন বন্ধ উত্তর করিল, “আমাদের ইচ্ছা।” হড়ির মতো গলা করিয়া তাসরাজ্যের তিন অধিনায়ক বনাভিভূতের মতো ললিল “ইণ্ডু । সে টো কে " ইচ্ছা কী সেদিন বুঝিল না, কিন্তু কম ক্ৰমে বঝিল। প্রতিদিন দেখিতে লাগিল, এমন কবিয়া না চলিযা আমন করিয়া চলাও সম্ভব, যেমন এ দিক আছে তেমনি ও দিকও আছে– বিদেশ হইতে তিনটে জীবন্ত দশটাত আসিয়া জানাইয়া দিল, বিধানের মধ্যেই মানবের সমস্ত বাধীনতার সীমা নহে। এমনি করিয়া তাহারা ইচ্ছানামক একটা রাজশক্তির প্রভাব অস্পষ্টভাবে অনুভব করিতে লাগিল । ওই সেটি যেমনি অনুভব করা আমনি তাসরাজ্যের আগাগোড়া অলপ অলপ BBB BBBBDDD DBB Bu DDS Tu BBBBB BBBBBBB BBBBB কুণ্ডলীর মধ্যে জাগরণ যেমন অত্যন্ত মন্দগতিতে সন্মলন করিতে থাকে সেইরাপ। নিবি কারমতি বিবি এতদিন কাহারও দিকে দষ্টিপাত করে নাই, নিবাক, নিরমাণিক্রাভাবে আপনার কাজ করিয়া গেছে। এখন একদিন বসন্তের অপরাহে ইহাদের মধ্যে একজন চকিতের মতো ঘনকৃষ্ণ পক্ষয় উধের উৎক্ষিপ্ত করিয়া রাজপাত্রের দিকে মন্ধে নেহের কটাক্ষপাত করিল। রাজপত্রে চমকিয়া উঠিয়া কহিল, "এ কী সবনাশ । আমি জানিতাম, ইহারা এক-একটা মাতিবং— তাহা তো নহে,