পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবিত ও মত AOළු চাকরদাসীরা এবং যোগমায়াও যখন-তখন যেখানে-সেখানে ভূত দেখিতে আরম্ভ করিল। একদিন এমন হইল, কাদম্বিবনী অধ্যরাত্রে আপন শয়নগহে হইতে কদিয়া বাহির হইয়া একেবারে যোগমায়ার গহ্বারে আসিয়া কহিল, “দিদি, দিদি, তোমার দটি পায়ে পড়ি গো ; আমায় একলা ফেলিয়া রাখিয়ো না।” যোগমায়ার যেমন ভয়ও পাইল তেমনি রাগও হইল। ইচ্ছা করিল তদন্ডেই কাদম্বিনীকে দরে করিয়া দেয় । দয়াপরবশ শ্রীপতি অনেক চেষ্টায় তাহাকে ঠাণ্ডা করিয়া পাশ্ববতী গহে পথান দিল। পরদিন অসময়ে অন্তঃপরে শ্রীপতির তলব হইল। যোগমায়া তাহাকে অকস্মাৎ ভৎসনা করিতে আরম্ভ করিল, “হাঁ গা, তুমি কেমনধারা লোক। একজন মেয়েমানষে আপন শবশঙ্কুরঘর ছাড়িয়া তোমার ঘরে আসিয়া অধিষ্ঠান হইল, মাসখানেক হইয়া গেল তব যাইবার নাম করে না, আর তোমার মাখে যে একটি আপত্তিমাত্ৰ শুনি না । তোমার মনের ভাবটা কী বঝোইয়া বলো দেখি । তোমরা পরষমানষে এমনি জাতই বাপত কি, সাধারণ জাতির পরে প্রযেমানুষের একটা নিবিচার পক্ষপাত S S S S S BBBBS SBBBBBB JBB SBBBB BBBB BBBBB BBBS BBBBB BBB BBBBB BBBBBBB BB BBS BB BBB B BBBBB BBBB BB BBB BBB ছিল তাহীর পবন্ধে তিনি যোগমাযার গাপেশাপবাক শপথ করিতে উদ্যত হইলেও, তাহার কালহারে তাহার প্রমাণ পাওয় যাইত । তিনি মন করিতেন, নিশ্চয়ই শবশুরবাড়ির লোকেরা এই পত্রহীনা বিধবার প্রতি অন্যাস অত্যাচার করিত, তাই নিতান্ত সহ্য করিতে না পারিয়া পলাইয়া কাদম্বিনী আমার আশ্ৰয লইয়াছে । যখন ইহার বাপ মা কেহই নাই তখন আমি ইহাকে কী কবিয়া ত্যাগ করি। এই বলিয়া তিনি কোনোরপে সন্ধান লইতে ক্ষাত ছিলেন এবং কাদম্বিনীকেও এই অপ্রীতিকর বিষয়ে প্রশ্ন করিয়া ব্যথিত করিতে তাঁহার প্রবত্তি হইত না। তখন তাঁহার সতী তাঁহার অসাড় কতবাবধিতে নানাপ্রকার আঘাত দিতে লাগিল। কাদম্বিনীর শ্বশুরবাড়িতে খবর দেওয়া ষে তাঁহার গাহের শান্তিরক্ষার পক্ষে একান্ত আবশ্যক, তাহা তিনি বেশ বুঝিতে পারিলেন। অবশেষে সিথর করিলেন, হঠাং চিঠি লিখিয়া বসিলে ভালো ফল নাও হইতে পারে, অতএব রানীহাটে তিনি নিজে গিয়া সন্ধান লইয়া যাহা কতব্য সিথর করিবেন। শ্রীপতি তো গেলেন, এ দিকে যোগমায়া আসিয়া কাদবিনীকে কহিল, “সই, এগানে তোমার আর থাকা ভালো দেখাইতেছে না । লোকে বলিবে কণী ।” কাদম্বিনী গম্ভীরভাবে যোগমায়াব মুখের দিকে তাকাইয়া কহিল, “লোকের সঙ্গে আমার সম্পক কণী ।” যোগমায়া কথা শুনিয়া অবাক হইয়া গেল। কিঞ্চিং রাগিয়া কহিল, “তোমার না থাকে, আমাদের তো আছে। আমরা পরের ঘরের বধকে কী বলিয়া আটক করিয়া লাখিব।” কাদবিনী কহিল, “আমার বশরঘর কোথায়।”