পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Wりや গল্পগুচ্ছ নাই, বন্ধি নাই, ক্ষমতা নাই, শুধু একটা প্রাণ আছে, সেটাও যদি কোথাও দিবার থাকে এখনই দিয়া ফেলি, কিন্তু তাহারই বা মলা কী। আর, স্বামীকে যদি দগ্ধফেনের মতো শত্র, নবনীর মতো কোমল, শিশুকন্দপের মতো সন্দের একটি নেহের পত্তলি সন্তান দিতে পারিতাম ! কিন্তু প্রাণপণে ইচ্ছা করিয়া মরিয়া গেলেও তো সে হইবে না। তখন মনে হইল, সবামীর একটি বিবাহ দিতে হইবে। ভাবিল, স্ত্রীরা ইহাতে এত কাতর হয় কেন, এ কাজ তো কিছই কঠিন নহে। স্বামীকে যে ভালোবাসে সপত্নীকে ভালোবাসা তাহার পক্ষে কী এমন অসাধ্য। মনে করিয়া বক্ষ সফীত হইয়া উঠিল। প্রস্তাবটা প্রথম যখন শুনিল নিবারণ হাসিয়া উড়াইয়া দিল, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বারও কশ্যপাত করিল না। স্বামীর এই অসম্মতি, এই অনিচ্ছা দেখিয়া হরসন্দেরীর বিশ্বাস এবং সখে যতই বাড়িয়া উঠিল তাহার প্রতিজ্ঞাও ততই দঢ় হইতে লাগিল। এ দিকে নিবারণ যত বারবার এই অনুরোধ শুনিল ততই ইহার অসম্প্রভাব্যতা তাহার মন হইতে দরে হইল এবং গহন্ধারে বসিয়া তামাক খাইতে খাইতে সন্তানপরিবত গহের সখময় চিত্র তাহার মনে উজ্জল হইয়া উঠিতে লগিল। একদিন নিজেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়া কহিল, “বড়াবয়সে একটি কচি খাকিকে বিবাহ করিয়া আমি মানষে করিতে পারিব না।” হরসন্দেরী কহিল, “সেজন্য তোমাকে ভাবিতে হইবে না। মানুষ করিবার ভার আমার উপর রহিল।" বলিতে বলিতে এই সন্তানহীনা রমণীর মনে একটি উদয় হইল এবং হাদয় স্নেহে বিগলিত হইয়া গেল। নিবারণ কহিল, “আমার আপিস আছে, কাজ আছে, তুমি আছ, কচি মেয়ের আবদার শনিবার অবসর আমি পাইব না।” হরসন্দেরী বারবার করিয়া কহিল, তাহার জন্য কিছুমাত্র সময় নষ্ট করিতে হইবে না। এবং অবশেষে পরিহাস করিয়া কহিল, “আচ্ছা গো, তখন দেখিব কোথায় বা তোমার কাজ থাকে, কোথায় বা আমি থাকি, আর কোথায় বা তুমি থাক।” নিবারণ সে কথার উত্তরমাত্র দেওয়া আবশ্যক মনে করিল না, শাসিতর লরাপ হরসন্দেরীর কপোলে হাসিয়া তজনী-আঘাত করিল। এই তো গেল ভূমিকা। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ একটি নোলক-পরা আশ্রভেরা ছোটোখাটো মেয়ের সহিত নিবারণের বিবাহ হইল, তাহার নাম শৈলবালা। নিবারণ ভাবিল, নামটি বড়ো মিন্ট এবং মুখখানিও বেঙ্গ ঢলোচলো। তাহার ভাবখানা, তাহার চেহারাখানি, তাহার চলাফেরা একটা বিশেষ মনোযোগ করিয়া চাহিয়া tर्माषाठ हैऋा करव्र, किन्छू टन स्राब्र किझरष्ठई हईमा छैटळे ना । छेलफ़ेिब्रा प्रथम छाय দেখাইতে হয় যে, ওই তো একফোঁটা মেয়ে, উহাকে লইয়া তো বিষম বিপদে পড়িলাম, কোনোমতে পাশ কাটাইয়া আমার বয়সোচিত কতব্যক্ষেত্রের মধ্যে গিয়া পঞ্চিলে যেন পরিয়াশ পাওয়া যায়।’