পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যবতিনী ՏԳ > সমস্ত গহনা বাহির করিল। শৈলবালাকে ডাকিয়া প্রথমে আপনার বিবাহের বেনারসি শাড়িখানি পরাইল, তাহার পর তাহার আপাদমস্তক এক-একখানি করিয়া গহনায় छब्रिग्ना मिल । छाट्ला कब्रिग्ना ठूल बाँधग्ना मन्त्रा ८नौत्र छदार्गलग्ना एमथिल, बालिकाब्र মুখখানি বড়ো সমিষ্ট, একটি সদ্য পক্ক সুগন্ধ ফলের মতো নিটোল, রসপশে । শৈলবালা যখন ঝম ঝম শব্দ করিয়া চলিয়া গেল সেই শব্দ বহনক্ষণ ধরিয়া হরসন্দেরীর শিরদ্র রক্তের মধ্যে ঝিম্ ঝিম করিয়া বাজিতে লাগিল। মনে মনে কহিল, আজ আর কী লইয়া তোতে আমাতে তুলনা হইবে। কিন্তু এক সময়ে আমারও তো ওই বয়স ছিল, আমিও তো অমনি যৌবনের শেষ রেখা পৰ্যন্ত ভরিয়া উঠিয়াছিলাম, তবে আমাকে সে কথা কেহ জানায় নাই কেন। কখন সে দিন আসিল এবং কখন সে দিন গেল তাহা একবার সংবাদও পাইলাম না। কিন্তু কী গবে, কী গৌরবে, কী তরঙ্গ তুলিয়াই শৈলবালা চলিয়াছে। হরসন্দেরী যখন কেবলমাত্র ঘরকন্নাই জানিত তখন এই গহনাগুলি তাহার কাছে কত দামি ছিল। তখন কি নিবোধের মতো এ-সমস্ত এমন করিয়া এক মহেনতে হাতছাড়া করিতে পারিত। এখন ঘরকন্না ছাড়া আর-একটা বড়ো কিসের পরিচয় পাইয়াছে; এখন গহনার দাম, ভবিষ্যতের হিসাব, সমস্ত তুচ্ছ হইয়া গিয়াছে। আর, শৈলবালা সোনামানিক ঝকমক করিয়া শয়নগহে চলিয়া গেল, একবার মহেত্যের তরে ভাবিলও না হরসন্দেরী তাহাকে কতখানি দিল। সে জানিল, চতুদিক হইতে সমস্ত সেবা, সমস্ত সম্প্রপদ, সমস্ত সৌভাগ্য স্বাভাবিক নিয়মে তাহার মধ্যে আসিয়া পরিসমাপ্ত হইবে; কারণ সে হইল শৈলবালা, সে হইল সই। পঞ্চম পরিচ্ছেদ এক-একজন লোক বনাবস্থায় নিভীকভাবে অত্যন্ত সংকটের পথ দিয়া চলিয়া যায়, মহেতেমাত্র চিন্তা করে না। অনেক জাগ্ৰত মানুষেরও তেমনি চিরসবনাবস্থা উপস্থিত হয়; কিছুমাত্র জ্ঞান থাকে না, বিপদের সংকীর্ণ পথ দিয়া নিশ্চিন্তমনে অগ্রসর হইতে থাকে, অবশেষে নিদারণে সবনাশের মধ্যে গিয়া জাগ্রত হইয়া উঠে। আমাদের ম্যাকমোরান কোম্পানির হেডবাবটিরও সেই দশা। শৈলবালা তাহার জীবনের মাঝখানে একটা প্রবল আবতের মতো ঘুরিতে লাগিল এবং বহর দর হইতে বিবিধ মহাম্ব' পদাৰ্থ আকৃষ্ট হইয়া তাহার মধ্যে বিলতে হইতে লাগিল। কেবল যে নিবারণের মনুষ্যত্ব এবং মাসিক বেতন, হরসন্দেরীর সখসৌভাগ্য এবং বসনভূষণ, তাহা নহে; সঙ্গে সঙ্গে ম্যাকমোরান কোম্পানির ক্যাশ তহবিলেও গোপনে টন পড়িল। তাহার মধ্য হইতেও দুটা-একটা করিয়া তোড়া অদশা হইতে লাগিল। নিবারণ স্থির করিত, আগামী মাসের বেতন হইতে আস্তে আস্তে শোধ করিয়া রাখিব । কিন্তু, আগামী মাসের বেতনটি হাতে আসিবামার সেই আবত হইতে টান পড়ে এবং শেষ দ-আনিটি পয'ত চকিতের মতো চিকমিক করিয়া বিদ্যুৎ-বেগে অন্তহিত হয়। শেষে একদিন ধরা পড়িল। পরে যানক্রমের চাকুরি। সাহেব বড়ো ভালোবাসে–