পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসম্পভব কথা ১৮১ শ্রাত দুটি চক্ষ আপনি মদিয়া আসে, তখনও তো শিশরে ক্ষুদ্র প্রাণটিকে একটি স্নিগ্ধ নিস্তৰখ নিস্তরঙ্গ স্রোতের মধ্যে সষেপ্তির ভেলায় করিয়া ভাসাইয়া দেওয়া হয়, তার পরে ভোরের বেলায় কে দটি মায়ামন্ত্র পড়িয়া তাহাকে এই জগতের মধ্যে জাগ্রত করিয়া তুলে । কিন্তু, যাহার বিশ্বাস নাই, যে ভাঁর এ সৌন্দযরসাদবাদনের জন্যও এক ইঞ্চি পরিমাণ অসম্ভবকে লঙ্ঘন করিতে পরামখে হয় তাহার কাছে কোনো-কিছর আর তার পরে নাই, সমস্তই হঠাৎ অসময়ে এক অসমাপ্তিতে সমাপ্ত হইয়া গেছে। ছেলেবেলায় সাত সমুদ্র পার হইয়া, মৃত্যুকে লঙ্ঘন করিয়া, গল্পের যেখানে যথার্থ বিরাম সেখানে স্নেহময় সমিস্ট বরে শনিতাম— আমার কথাটি ফরোল, নোটে গাছটি মড়োল। এখন বয়স হইয়াছে, এখন গল্পের ঠিক মাঝখানটাতে হঠাৎ থামিয়া গিয়া একটা নিষ্ঠর কঠিন কণ্ঠে শুনিতে পাই— আমার কথাটি ফরোল না, নোটে গাছটি মুড়োল না। কেন রে নোটে মনুড়োলি নে কেন । তোর গোরতে— দর হউক গে, ওই নিরীহ প্রাণীটির নাম করিয়া কাজ নাই। আবার কে কোন দিক হইতে গায়ে পাতিয়া লইবে । আষাঢ় ১৩ oo