পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২০

সমাপিত 之O> আহারান্তে প্রবলবেগে বাতাস উঠিয়া বিষম ব্যটি আরম্ভ হইল। ভগ্নী কহিল, "দাদা, আজ আমাদের এখানেই থেকে যাও।” দাদা কহিল, "না, বাড়ি যেতে হবে; কাজ আছে।” ভগ্নীপতি কহিল, "রাত্রে তোমার আবার এত কাজ কিসের। এখানে এক রাত্রি থেকে গেলে তোমার তো কারও কাছে জবাবদিহি করতে হবে না, তোমার ভাবনা কাঁ।” অনেক পীড়াপীড়ির পর বিস্তর অনিচ্ছা-সত্ত্বে অপব সে রাত্রি থাকিয়া যাইতে সম্মত হইল । ভগ্নী কহিল, "দাদা, তোমাকে শ্রান্ত দেখাচ্ছে, তুমি আর দেরি কোরো না, চলো শতে চলো।” অপবরও সেই ইচ্ছা। শয্যাতলে অন্ধকারের মধ্যে একলা হইতে পারিলে বাঁচে, কথার উত্তর প্রত্যুত্তর করিতে ভালো লাগিতেছে না। শয়নগহের বারে আসিয়া দেখিল ঘর অন্ধকার। ভগ্নী কহিল, "বাতাসে আলো নিবে গেছে দেখছি। তা, আলো এনে দেব কি, দাদা।” অপব কহিল, "না, দরকার নেই, আমি রাত্রে আলো রাখি নে ৷” ভগ্নী চলিয়া গেলে অপব অন্ধকারে সাবধানে খাটের অভিমুখে গেল। খাটে প্রবেশ করিতে উদ্যত হইতেছে এমন সময়ে হঠাৎ বলয়নিকশশব্দে একটি সমকোমল বাহপাশ তাহাকে সুকঠিন বন্ধনে বধিয়া ফেলিল এবং একটি পপপটতুল্য ওঠাধর দসার মতো আসিয়া পড়িয়া অবিরল অশ্রজলসিক্ত আবেগপাশ চুবনে তাহাকে বিস্ময়প্রকাশের অবসর দিল না। অপব প্রথমে চমকিয়া উঠিল, তাহার পর বুঝিতে পারিল, অনেক দিনের একটি হাসাবাধায়-অসম্পন্ন চেষ্টা আজ আশ্রজেলধারায় সমাপত হইল । আশ্বিন ১৩oo ఏ8