পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२२ গল্পগুচ্ছ রোগীর সেবায় তিনি সিন্ধহস্ত ছিলেন, কিন্তু রোগী তাঁহাকে যমেরই মতো ভয় করিত। পথ্য বা নিয়মের লেশমাত্র লঙ্ঘন হইলে তাঁহার ক্ৰোধানল রোগের তাপ অপেক্ষা রোগীকে অধিক উত্তপ্ত করিয়া তুলিত। এই দীঘ"াকার কঠিন বিধবাটি বিধাতার কঠোর নিয়মদণ্ডের ন্যায় পল্লীর মস্তকের উপর উদ্যত ছিলেন; কেহ তাঁহাকে ভালোবাসিতে অথবা অবহেলা করিতে সাহস । করিত না। পল্লীর সকলের সঙ্গেই তাঁহার যোগ ছিল অথচ তাঁহার মতো অত্যন্ত একাকিনী কেহ ছিল না। বিধবা নিঃসন্তান ছিলেন। পিতৃমাতৃহীন দুইটি ভ্রাতুষ্পপত্র তাঁহার গহে মানুষ হইত। পরষ অভিভাবক অভাবে তাহাদের যে কোনো প্রকার শাসন ছিল না এবং স্নেহান্ধ পিসিমার আদরে তাহারা যে নষ্ট হইয়া যাইতেছিল এমন কথা কেহ বলিতে পারিত না । তাহাদের মধ্যে বড়োটির বয়স আঠারো হইযছিল। মাঝে মাঝে তাহার বিবাহের প্রস্তাবও আসিত এবং পরিণয়-বন্ধন সম্বন্ধে বালকটির চিত্তও উদাসীন ছিল না। কিন্তু পিসিমা তাহার সেই সখেবাসনায় এক দিনের জন্যও প্রশ্ৰষ দেন নাই। অন্য সত্ৰীলোকের ন্যায় কিশোর নবদম্পতির নব প্রেমোদগমদশ্য তাঁহার কল্পনায় অত্যন্ত উপভোগ্য মনোরম বলিয়া প্রতীত হইত না। বরং তাঁহার ভ্রাতুঙ্গপত্র বিবাহ করিয়া অন্য ভদ্র গহন্থের ন্যায় আলস্যভরে ঘরে বসিয়া পত্নীর আদরে প্রতিদিন সফীত হইতে থাকিবে, এ সম্ভাবনা তাঁহার নিকট নিরতিশয় হেয় বলিয়া প্রতীত হইত। তিনি কঠিন ভাবে বলিতেন, পলিন আগে উপাজন করিতে আরম্ভ করকে, তার পরে বধ ঘরে আনিবে। পিসিমার মুখের সেই কঠোর বাক্যে প্রতিবেশিনীদের হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া W5 | ঠাকুরবাড়িটি জয়কালীর সবাপেক্ষা যত্নের ধন ছিল । ঠাকুরের শয়ন বসন সনানাহারের তিলমাত্র ক্রটি হইতে পারিত না । পুজক ব্ৰাহয়ণ দুটি দেবতার অপেক্ষ এই একটি মানবীকে অনেক বেশি ভয় করিত। পবে এক সময় ছিল যখন দেবতার বরাদ্দ দেবতা পরা পাইতেন না। কারণ, পজেক ঠাকুরের আর-একটি পজোর প্রতিমা গোপন মন্দিরে ছিল ; তাহার নাম ছিল নিস্তারিণী। গোপনে ঘতে দগধ ছানা ময়দার নৈবেদ্য সবগে নরকে ভাগাভাগি হইয়া যাইত। কিন্তু আজকাল জয়কালীর শাসনে পজার ষোলো আনা অংশই ঠাকুরের ভোগে আসিতেছে, উপদেবতাগণকে অনার জীবিকার অন্য উপায় অন্বেষণ করিতে হইয়াছে। বিধবার যত্নে ঠাকুরবাড়ির প্রাঙ্গণটি পরিকার তকতক করিতেছে-- কোথাও একটি তৃণমাত্র নাই। এক পাবে মঞ্চ অবলম্বন করিয়া মাধবীলতা উঠিয়াছে, তাহার । শাক পত্র পড়িবামাত্র জয়কালী তাহা তুলিয়া লইয়া বাহিরে ফেলিয়া দেন। ঠাকুরবাড়িতে পারিপাট্য পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতার কিছুমার ব্যাঘাত হইলে বিধবা তাহা সহ্য করিতে পারিতেন না। পাড়ার ছেলেরা পাবে লকোচুরি খেলা উপলক্ষ্যে এই প্রাঙ্গণের প্রান্তে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিত এবং মধ্যে মধ্যে পাড়ার ছাগলিশ আসিয়া মাধবীলতার বকলাংশ কিছু কিছ ভক্ষণ করিয়া বাইত। এখন আর সে সযোগ নাই। পবকাল ব্যতীত অন্য দিনে ছেলেরা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিতে পাইত না এবং ক্ষুধাতুর ছাগশিশকে দণ্ডাঘাত খাইয়াই বারের নিকট হইতে তারস্বরে আপন অজ-জননীকে আহবান कर्गब्रएल कर्गब्राट झिब्रिटड झट्टैठ ।