পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ ও রোঁল্প ఇరిపి পারি না কিন্তু সে যাত্রায় নিঃসন্দেহ শশিভূষণের ভারতবষীয় পলীহা রক্ষা পাইয়াছিল। মাঝিমাল্লা যাহারা বাঁচিল তাহাদিগকে লইয়া শশী গ্রামে ফিরিয়া আসিলেন। নৌকায় পাট বোঝাই ছিল, সেই পাট উদ্ধারের জন্য লোক নিযুক্ত করিয়া দিলেন এবং মাঝিকে ম্যানেজারের বিরুদ্ধে পলিসে দরখাস্ত দিতে অনুরোধ করিলেন। মাঝি কিছুতেই সম্মত হয় না। সে বলিল, “নৌকা তো মজিয়াছে, এক্ষণে নিজেকে মজাইতে পারিব না।” প্রথমত, পলিসকে দশনি দিতে হইবে; তাহার পর কাজকর্ম আহরনিদ্রা ত্যাগ করিয়া আদালতে ঘুরিতে হইবে; তাহার পর সাহেবের নামে নালিশ করিয়া কী বিপাকে পড়িতে হইবে ও কী ফললাভ হইবে তাহা ভগবান জানেন । অবশেষে সে যখন জানিল, শশিভূষণ নিজে উকিল, আদালতখরচা তিনিই বহন করিকেন এবং মকদ্দমায় ভবিষ্যতে খেসারত পাইবার সম্পণে সম্পভাবনা আছে তখন রাজি হইল । কিন্তু শশিভূষণের গ্রামের লোক যাহারা স্টিমারে উপস্থিত ছিল তাহারা কিছুতেই সাক্ষ্য দিতে চাহিল না। তাহারা শশিভূষণকে কহিল, “মহাশয়, আমরা কিছুই দেখি নাই; আমরা জাহাজের পশ্চাৎ-ভাগে ছিলাম, কলের ঘট ঘট এবং জলের কল কল শব্দে সেখান হইতে বন্দুকের আওয়াজ শনিবারও কোনো সম্ভাবনা ছিল না।” দেশের লোককে আন্তরিক ধিক্কার দিয়া শশিভূষণ ম্যাজিস্টেটের নিকট মকদ্দমা 8 লইলেন । সাক্ষীর কোনো আবশ্যক হইল না । ম্যানেজার স্বীকার করিল যে, সে বন্দকে ছ:ড়িয়ছিল । কহিল, আকাশে এক ঝাঁক বক উড়িতেছিল, তাহাদেরই প্রতি লক্ষ করা ং ইয়াছিল। স্টিমার তখন পণ বেগে চলিতেছিল এবং সেই মহেতেই নদীর বাঁকের সন্তকালে প্রবেশ করিয়ছিল । স.তরাং সে জানিতেও পারে নাই, কাক মরিল, কি বক মরিল, কি নৌকাটা ডুবিল। অন্তর ক্ষে এবং পথিবীতে এত শিকারের জিনিস আছে BS BB BBBBB BB BBBBB BB BBS BBBB BBBB BBBB BBB সিকিপযস্য দামেরও ছিটগ,লি অপব্যয় করিতে পারে না । বেকসুর খালাস পাইয়া ম্যানেজার-সাহেব চুরট ফ:কিতে ফকিতে ক্লাবে হাইস্ট খেলিতে গেল, যে লোকটা নৌকার মধ্যে মশলা পিষিতেছিল নয় মাইল তফাতে তাহার ম,তদেহ ডাঙায় আসিয় লাগিল এবং শশিভূষণ চিত্তদাহ লইয়া আপন গ্রামে ফিরিয়া স:সিলেন । যেদিন ফিরিয়া আসিলেন, সেদিন নৌকা সাজাইয়া গিরিবালাকে বশরেবাড়ি লইয়া যাইতেছে। যদিও তাঁহাকে কেহ ডাকে নাই তথাপি শশিভূষণ ধীরে ধীরে নদীতীরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন ৷ ঘাটে লোকের ভিড় ছিল, সেখানে না গিয়া কিছু দরে অগ্রসর হইয়া দাঁড়াইলেন । নৌকা ঘাট ছাড়িয়া যখন তাঁহার সম্মখে দিয়া চলিয়া গেল এখন চকিতের মতো একবার দেখিতে পাইলেন, মাথায় ঘোমটা টানিয়া নববধ নতশিরে পসিয়া আছে। অনেক দিন হইতে গিরিষালার আশা ছিল যে, গ্রাম ত্যাগ করিয়া যাইবার প.বে কোনোমতে একবার শশিভূষণের সহিত সাক্ষাৎ হইবে, কিন্তু আজ সে জানিতেও পরিল না যে তাহার গরে অনতিদারে তীরে দাঁড়াইয়া আছেন। একবার সে মাখ উলিয়াও দেখিল না, কেবল নিঃশব্দ রোদনে তাহার দই কপোল বাহিয়া আশ্রজেল *রিয়া পড়িতে লাগিল। নৌকা ক্রমশ দরে চলিয়া অদশ্য হইয়া গেল। জলের উপর প্রভাতের রৌদ্র কিক