পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ ও রৌদ্র ૨8છે লাগিলেন। খেড়িার পা খানায় পড়ে—সে কেবল খানার দোষে নয়, খেড়িার পাটারও পড়িবার দিকে একটা বিশেষ ঝোঁক আছে। শশিভূষণ সেদিন তাহার একটা প্রমাণ দিলেন। দুই নদীর মোহানার মুখে বাঁশ বধিয়া জেলেরা প্রকাণ্ড জাল পাতিয়াছে। কেবল এক পাশেব নৌকা-চলাচলের পথান রাখিয়াছে। বহুকাল হইতে তাহারা এ কায করিয়া থাকে এবং সেজন্য খাজনাও দেয়। দভাগ্যক্রমে এ বৎসর এই পথে হঠাৎ জেলার পলিস-সপারিস্টেণ্ডেণ্টবাহাদরের শভোগমন হইয়াছে। তাঁহার বেট আসিতে দেখিয়া জেলেরা পাব হইতে পাশ্ববতী পথ নির্দেশ করিয়া উচ্চৈঃস্বরে সাবধান করিয়া দিল। কিন্তু মনয্যেরচিত কোনো বাধাকে সম্মান প্রদর্শন করিয়া ঘুরিয়া যাওয়া সাহেবের মাঝির অভ্যাস নাই। সে সেই জালের উপর দিয়াই বোট চাল,ইয়া দিল । জাল অবনত হইয়া বেটকে পথ ছাড়িয়া দিল, কিন্তু তাহার হাল বাধিয়া গেল। কিঞ্চিৎ বিলম্বেব এবং চেস্টায় হাল ছাড়াইয়া লইতে হইল । পলিস-সাহেব অত্যন্ত গরম এবং রন্তবর্ণ হইয়া বোট বধিলেন। তাঁহার মতি BBBBB BB BBB BBSBBB BBSBB BBBS BBBB BBBB BDBBB BB কাটিয়া ফেলিতে আদেশ করিলেন। তাহারা সেই সাত-আট শত টাকার বহৎ জাল কটিয়া টকরা টকেরা করিয়া ফেলিল । জলের উপর ঝাল ঝাড়িয়া অবশেষে জেলেদিগকে ধরিয়া আনিবার আদেশ হইল। কন স্টেবল পলাতক জেলে চারিটির সন্ধান না পাইয়া যে চারিজনকে হাতের কাছে পাইল তাহাদিগকে ধরিয়া অনিল । তাহারা আপনাদিগকে নিরপরাধ বলিয়া জোড়হস্তে কাকুতিমিনতি করিতে লাগিল। পলিস-বাহাদর যখন সেই বন্দীদিগকে সঙ্গে লইবার হুকুম দিতেছেন, এমন-সময় চশমা-পরা শশিভূষণ তাড়াতাড়ি একখানা জমা পবিযা তাহার বোতাম না লাগাইয়া চটিজতা চট চট করিতে করিতে উধনশবাসে পলিসের বোটের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কম্পিত্যবরে কহিলেন, “সার, জেলের জাল ছিড়িবার এবং এই চারিজন লোককে উৎপীড়ন করিবার তোমার কোনো অধিকার নাই ।” পলিসের বড়ো কত তাঁহাকে হিন্দিভাষায় একটা বিশেষ অসম্মানের কথা বলিব মাত্র তিনি এক মহতে কিঞ্চিং উচ্চ ডাঙা হইতে বেটের মধ্যে লাফাইরা পড়িয়াই একেবারে সাহেবের উপর আপনাকে নিক্ষেপ করিলেন। বালকের মতো, পাগলের মতো মারিতে লাগিলেন। তাহার পর কী হইল তিনি তাহা জানেন না। পলিসের থানার মধ্যে যখন জাগিয়া উঠিলেন তখন বলিতে সংকোচ বোধ হয়, ষেরপ ব্যবহার প্রাপ্ত হইলেন তাহাতে মানসিক সম্মান অথবা শারীরিক আরাম বোধ করিলেন না ।