পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ ଧୂ ୩ ୦ আপদ সন্ধ্যার দিকে ঝড় ক্রমশ প্রবল হইতে লাগিল। বটির ঝাপট, বঞ্জের শব্দ এবং বিদ্যতের ঝিকমিকিতে আকাশে যেন সরাসরের বন্ধে বাধিয়া গেল। কালো কালো মেঘগলো মহাপ্রলয়ের জয়পতাকার মতো দিগবিদিকে উড়িতে আরম্ভ করিল, গঙ্গার এ পারে ও পারে বিদ্রোহী ঢেউগুলো কলশব্দে নত্য জড়িয়া দিল, এবং বাগানের বড়ো বড়ো গাছগুলো সমস্ত শাখা ঝটপট করিয়া হাহতাশসহকারে দক্ষিণে বামে লটোপটি করিতে লাগিল। তখন চন্দননগরের বাগানবাড়িতে একটি দীপালোকিত রন্থে কক্ষে খাটের সম্মুখবতী নীচের বিছানায় বসিয়া সন্ত্রী-পরে যে কথাবাত চলিতেছিল। সারিয়া উঠিবে, তখন আমরা দেশে ফিরিতে পারিব।” কিরণময়ী বলিতেছিলেন, “আমার শরীর সম্পণে সারিয়া উঠিয়াছে, এখন দেশে ফিরিলে কোনো ক্ষতি হইবে না।” বিবাহিত ব্যক্তিমাত্রেই বকিতে পারিকেন, কথাটা যত সংক্ষেপে রিপোর্ট করিলাম তত সংক্ষেপে শেষ হয় নাই। বিষয়টি বিশেষ দরহ নয়, তথাপি বাদপ্রতিবাদ কিছতেই মীমাংসার দিকে অগ্রসর হইতেছিল না; কণহীন নৌকার মতো ক্ৰমাগতই ঘরে খাইয়া মরিতেছিল; অবশেষে আশ্রতরঙ্গে ডুবি হইবার সম্পভাবনা দেখা দিল। শরৎ কহিলেন, “ডাঙ্কার বলিতেছে, আর কিছুদিন থাকিয়া গেলে ভালো হয়।” কিরুপ কহিলেন, “তোমার ডাক্তার তো সব জানে!” শরৎ কহিলেন, “জ্ঞান তো, এই সময়ে দেশে নানাপ্রকার ব্যামোর প্রাদাভাব হয়, অতএব আর মাস দুয়েক কাটাইয়া গেলেই ভালো হয়।” কিরণ কহিলেন, “এখানে এখন বাকি কোথাও কাহারও কোনো ব্যামো হয় না!” পবে ইতিহাসটা এই। কিরণকে তাহার ঘরের এবং পাড়ার সকলেই ভালোবাসে, এমন কি, শাশুড়ি পর্যন্ত । সেই কিরণের যখন কঠিন পীড়া হইল তখন সকলেই চিন্তিত হইয়া উঠিল, এবং ডাক্তার যখন বায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করিল তখন গহ এবং কাজকম ছাড়িয়া প্রবাসে যাইতে তাহার স্বামী এবং শাশুড়ি কোনো আপত্তি করিলেন না। যদিও গ্রামের বিবেচক প্রাজ্ঞ ব্যক্তিমাত্রেই বার পরিবতনে আরোগের আশা করা এবং সীর জন্য এতটা হলেস্থলে করিয়া তোলা নব্য সৈন্ণতার একটা নিলাজ আতিশযা বলিয়া স্থির করিলেন এবং প্রশ্ন করিলেন, ইতিপবে কি কাহারও म्यौम्न कठेिन नौफ़ा शम्न नाई. अग्नर gयथाटन याeग्ना न्थिब्र कब्रिग्नाटझ्न zनथाटन कि মানষেরা অমর, এবং এমন কোনো দেশ আছে কি যেখানে অদন্টের লিপি সফল হয় নাই— তথাপি শরৎ এবং তাঁহার মা সে-সকল কথায় কর্ণপাত করিলেন না; তখন গ্রামের সমস্ত সমবেত বিজ্ঞতার অপেক্ষা তাঁহাদের হদয়লক্ষী কিরণের প্রাণটুকু তাঁহাদের নিকট গরে্তর বোধ হইল। প্রিয়ব্যক্তির বিপদে মানুষের এরপে মোহ ঘটিয়া থাকে। শরৎ চন্দননগরের বাগানে আসিয়া বাস করিতেছেন, এবং কিরণও রোগমন্তে