পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भनख8*न ఫిషిని গিরিবালার একটি সরসিকা দাসী আছে, তাহার নাম সাধো, অর্থাৎ সন্ধামুখী; সে গান গাহিত, নাচিত, ছড়া কাটিত, প্রভুপত্নীর রাপের ব্যাখ্যা করিত; এবং অরসিকের হতে এমন রপ নিম্বফল হইল বলিয়া আক্ষেপ করিত। গিরিবালার যখন-তখন এই সাধোকে নহিলে চলিত না। উলটিয়া পালটিয়া সে নিজের মুখের শ্রী, দেহের গঠন, বর্ণের উজৰলতা সম্বন্ধে বিস্তৃত সমালোচনা শনিত; মাঝে মাঝে তাহার প্রতিবাদ করিত এবং পরমপুলকিতচিত্তে সুধোকে মিথ্যাবাদিনী চাটভাষিণী বলিয়া গঞ্জনা করিতে ছাড়িত না— সাধো তখন শত শত শপথ-সহকারে নিজের মতের অকৃত্রিমতা প্রমাণ করিতে বসিত, গিরিবলার পক্ষে তাহা বিশ্বাস করা নিতান্ত কঠিন হইত না । সধো গিরিবালাকে গান শনাইত— ‘দসখত দিলাম লিখে শ্রীচরণে ; এই গানের মধ্যে গিরিবালা নিজের অলঙ্কাঙ্কিত অনিন্দ্যসন্দর চরণপপ্লবের স্তব শুনিতে পাইত এবং একটি পদলান্ঠিত দাসের ছবি তাহার কল্পনায় উদিত হইত। কিন্তু হয়, দুটি শ্রীচরণ মলের শব্দে শুন্য ছাতের উপরে আপন জয়গান ঝংকৃত করিয়া বেড়ায়, তব কোনো স্বেচ্ছাবিক্ৰীত ভক্ত আসিয়া দাসখত লিখিয়া দিয়া যায় না। গোপীনাথ যাহাকে দাসখত লিখিয়া দিয়াছে তাহার নাম লবঙ্গ— সে থিয়েটারে অভিনয় করে— সে স্টেজের উপর চমৎকার মাছা যাইতে পারে--- সে যখন সাননোসিক কুন্তিম কাঁদ,নির স্বরে হাঁপাইয়া-হাঁপাইয়া টনিয়া-টানিয়া আধ-অ্যধ উচ্চারণে “প্রাণনাথ” “প্রাণশবর” করিয়া ডাক ছাড়িতে থাকে তখন পাংলা ধতির উপর ওয়েস্টকোট-পরা: ফলে মোজামণ্ডিত দশকমণ্ডলী “এক্সেলেন্ট” ”এক্সেলেন্ট” কবিয়া উচ্ছসিত হইয়া 5ಡೆ ! এই অভিনেত্রী লবঙ্গের অত্যাশচষ ক্ষমতার বণনা গিরিবালা ইতিপবে অনেকবার তাহার স্বামীর মুখেই শুনিয়ছে। তখনও তাহার স্বামী সম্পণেরপে পলাতক হয় নাই। তখন সে তাহার স্বামীর মোহাবস্থা না জ্ঞানিয়াও মনে মনে অসয়া অনুভব করিত । আর কোনো নারীর এমন কোনো মনোরঞ্জিনী বিদ্যা আছে যাহা তাহার নাই ইহা সে সহা করিতে পারিত না। সাসয় কৌতুহলে সে অনেকবার থিয়েটার দেখিতে যাইবার ইচ্ছা প্রকাশ করিত, কিন্তু কিছুতেই স্বামীর মত করিতে পারিত না । অবশেষে সে একদিন টাকা দিয়া সাধকে থিয়েটার দেখিতে পাঠাইয়া দিল; সন্ধা আসিয়া নাসা ভ্ৰ কুশ্চিত করিয়া রমনাম উচ্চারণ-পবাক অভিনেত্রীদিগের ললাটদেশে সমাজ’নীর ব্যবস্থা করিল— এবং তাহদের কদয মতি ও কৃত্রিম ভঙ্গীতে যেসমস্ত পরষের অভিরুচি জন্মে, তাহাদের সম্বন্ধেও সেই একই রপে বিধান শ্বির করিল। শনিয়া গিরিবালা বিশেষ আশ্বস্ত হইল। | কিন্তু যখন তাহার স্বামী বন্ধন ছিন্ন করিয়া গেল তখন তাহার মনে সংশয় উপস্থিত হইল। সাধোর কথায় অবিশ্বাস প্রকাশ করিঙ্গে সধো গিরির গা ছ:ইয়া বারবার কহিল, বস্তখণ্ডাবত দগধকাঠের মতো তাহার নীরস এবং কুৎসিত চেহারা। গিরিশতাহার আকর্ষণী শক্তির কোনো কারণ নিৰ্ণয় করিতে পারিল না এবং নিজের । অভিমানে সাংঘাতিক আঘাত প্রাপ্ত হইয়া জনলিতে লাগিল। , অবশেষে একদিন সন্ধ্যাবেলায় সাধোকে লইয়া গোপনে থিয়েটার দেখিতে গেল । , নিষিদ্ধ কাজের উত্তেজনা বেশি। তাহার হৎপিণ্ডের মধ্যে যে-এক মদ কম্পন