পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ००२ গল্পগুচ্ছ করিয়া তাঁহার কোনো অসম্পভব কথাতেই প্রতিবাদ করিত না বলিয়া তিনি আপনার কথার পরিমাণ রক্ষা করিতে পারিতেন না। অন্য লোকেও যখন আমোদ করিয়া অথবা তাঁহাকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য নয়নজোড়ের কীত্যিকলাপ সম্বন্ধে বিপরীত মাত্রায় অত্যুক্তি প্রয়োগ করিত, তিনি অকাতরে সমস্ত গ্রহণ করিতেন এবং বনেও সন্দেহ করিতেন না যে, অন্য কেহ এ-সকল কথা লেশমাত্র অবিশ্বাস করিতে পারে। আমার এক-এক সময় ইচ্ছা করিত, বন্ধ যে মিথ্যা দাগ অবলম্বন করিয়া বাস করিতেছে এবং মনে করিতেছে ইহা চিরস্থায়ী, সেই দাগটি দই তোপে সবসমক্ষে উড়াইয়া দিই। একটা পাখিকে সুবিধামত ডালের উপর বসিয়া থাকিতে দেখিলেই শিকারির ইচ্ছা করে তাহাকে গলি বসাইয়া দিতে, পাহাড়ের গায়ে একটা প্রস্তর পতনোমখে থাকিতে দেখিলেই বালকের ইচ্ছা করে এক লাথি মারিয়া তাহাকে গড়াইয়া ফেলিতে—ষে জিনিসটা প্রতি মহেনতে পড়ি-পড়ি করিতেছে, অথচ কোনো একটা-কিছতে সংলগ্ন হইয়া আছে, তাহাকে ফেলিয়া দিলেই তবে যেন তাহার সম্পন্ণতা-সাধন এবং দশকের মনে তৃতিলাভ হয়। কৈলাসবাবর মিথ্যাগুলি এতই সরল, তাহার ভিত্তি এতই দাব’ল, তাহা ঠিক সত্য-বন্দকের লক্ষের সামনে এমনি বকে ফলাইয়া নত্য করিত যে, তাহাকে মহোতের মধ্যে বিনাশ করিবার জন্য একটি আবেগ উপস্থিত হইত— কেবল নিতান্ত আলস্যবশত এবং সব"জনসম্মত প্রথার অনুসরণ করিয়া সে কাষে হসতক্ষেপ করিতাম না। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ নিজের অতীত মনোভাব বিশেলষণ করিয়া যতটা মনে পড়ে তাহাতে বোধ করি, কৈলাসবাবর প্রতি আমার আন্তরিক বিদ্বেষের আর-একটি গঢ় কারণ ছিল। তাহা একটা বিবত করিয়া বলা আবশ্যক। আমি বড়োমানুষের ছেলে হইয়াও যথাকালে এম.এ. পাস করিয়াছি, যৌবন সত্ত্বেও কোনোপ্রকার কুসংসগ কুৎসিত আমোদে যোগ দিই নাই, এবং অভিভাবকদের মৃত্যুর পরে স্বয়ং কত হইয়াও আমার স্বভাবের কোনোপ্রকার বিকৃতি উপস্থিত হয় নাই। তাহা ছাড়া চেহারাটা এমন যে, তাহাকে আমি নিজমুখে সত্ৰী বলিলে অহংকার হইতে পারে কিন্তু মিথ্যাবাদ হয় না। অতএব বাংলাদেশে ঘটকালির হাটে আমার দাম যে অত্যন্ত বেশি তাহাতে আর সন্দেহ নাই— এই হাটে আমার সেই দাম আমি পরা আদায় করিয়া লইব, এইরুপ দঢ় প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলাম। ধনী পিতার পরম রুপবতী একমাত্র বিদুষী কন্যা আমার কল্পনায় আদশ রাপে বিরাজ করিতেছিল। দশ হাজার বিশ হাজার টাকা পণের প্রস্তাব করিয়া দেশ বিদেশ হইতে আমার সবন্ধ আসিতে লাগিল। আমি অবিচলিতচিত্তে নিক্তি ধরিয়া তাহাদের যোগ্যতা ওজন করিয়া লইতেছিলাম, কোনোটাই আমার সমযোগ্য বোধ হয় নাই। অবশেষে ভবভূতির ন্যায় আমার ধারণা হইয়াছিল যে, कौ छानि छर्गन्धाउ श्राप्द्र प्रश्न नप्रष्ट्रजঅসীম সময় আছে, বসন্ধা বিপলে।