পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిపేం গল্পগুচ্ছ আসিল— এবং সেই দুই-মিনিট-কালের সংস্রবে হাটখোলাবাসিনী ধনীগহবধ এই স্বল্পভাষিণী মিতহাসিনী ইন্দ্রাণীর সহিত জন্মের মতো প্রাণের সখীত্ব পথাপনের জন্য উচ্ছসিত হইয়া উঠিল। এইরুপে নয়নতারা সত্ৰীজনসলভ নিষ্ঠর নৈপুণ্যের সহিত যতগুলি অপমানশর বষণ করিল ইন্দ্রাণী তাহার কোনোটাকেই গায়ে বিধিতে দিল না— সকলগুলিই তাহার অকলঙ্ক সমাজৰল সহজ তেজস্বিতার কঠিন বমে ঠেকিয়া আপনি ভাঙিয়া-ভাঙিয়া পড়িয়া গেল। তাহার গভীর অবিচলত দেখিয়া নয়নতারার আক্রোশ আরও বাড়িয়া উঠিতে লাগিল এবং ইন্দ্রাণী তাহা বুঝিতে পারিয়া এক সময় অলক্ষ্যে কাহারও নিকট বিদায় না লইয়া বাড়ি চলিয়া আসিল । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ যাহারা শান্তভাবে সহ্য করে তাহারা গভীরতররপে আহত হয় ; অপমানের আঘাত ইন্দ্রাণী যদিও অসীম অবজ্ঞা-ভরে প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল, তথাপি তাহা তাহার অন্তরে वाङ्घ्निाझिळ । ইন্দ্রাণীর সহিত যেমন বিনোদবিহারীর বিবাহের প্রস্তাব হইয়াছিল তেমনি এক সময় ইন্দ্রাণীর এক দরসম্পকের নিঃসব পিসতুতো ভাই বামাচরণের সহিত নয়নতারার বিবাহের কথা হয় ; সেই বামাচরণ এখন বিনোদের সেরেস্তায় একজন সামানা কমচারী। ইন্দ্রাণীর এখনও মনে পড়ে, বাল্যকালে একদিন নয়নতারার বাপ নয়নকে সঙ্গে করিয়া তাঁহাদের বাড়িতে আসিয়া বামাচরণের সহিত তাঁহার কন্যার বিবাহের জন্য গৌরীকান্তকে বিস্তর অননয়-বিনয় করিয়াছিলেন। সেই উপলক্ষ্যে ক্ষুদ্র বালিকা নয়নতারার অসামান্য প্ৰগলভতায় গৌরীকান্তের অন্তঃপরে সকলেই আশ্চর্য এবং কৌতুকান্বিত হইয়াছিলেন, এবং তাহার সেই অকালপক্কতার নিকট মুখচোরা লাজকে ইন্দ্রাণী নিজেকে নিতান্ত অক্ষমা অনভিজ্ঞা জ্ঞান করিয়াছিল। গৌরীকান্ত এই মেয়েটির অনগ’ল কথায়-বাতায় এবং চেহারায় বড়োই খুশি হইয়াছিলেন, কিন্তু কুলের যৎকিঞ্চিং ক্রটি থাকায় বামাচরণের সহিত ইহার বিবাহপ্রস্তালে মত দিলেন না। སྨང་ར་ལྟ་ བུ་ཅ་མ་ ཀལ” ཐལ་ ༧s ༡༣ ཨང་ ༧ “སྔལ་ཅ། །ཨཀ་ཨར་ ༧ཐ་ན་ མཐའ་མ་གྷ་ངྷ་ হয় । এই-সকল কথা মনে করিয়া ইন্দ্রাণী কোনো সানা পাইল না, বরং অপমান আরও বেশি করিয়া বাজিতে লাগিল। মহাভারতে-বর্ণিত শক্লোচাষীদহিতা দেবযানী এবং শমিষ্ঠার কথা মনে পড়িল। দেবযানী যেমন তাহার প্রভুকন্যা শমিষ্ঠার দপ চণ করিয়া তাহাকে দাসী করিয়াছিল, ইন্দ্রাণী যদি তেমনি করিতে পারিত তবেই যথোপযন্ত বিধান হইত। এক সময় ছিল, যখন দৈত্যদের নিকট দৈত্যগর শাকাচায্যের ন্যায় মাকুন্দবাবর পরিবারবগের নিকট তাহার পিতামহ গৌরীকান্ত একান্ত আবশ্যক ছিলেন। তখন তিনি যদি ইচ্ছা করিতেন তবে মরুদবাবকে হীনতা স্বীকার করাইতে পারিতেন—কিন্তু তিনিই মাকুন্দলালের বিষয়সম্পত্তিকে উন্নতির চরম সীমার উত্তীর্ণ করিয়া দিয়া সব প্রকার শঙ্খলা স্থাপন করিয়া গিয়াছেন, অতএব আজ আর তাঁহাকে স্মরণ করিয়া প্ৰভুদের কৃতজ্ঞ হইবার আবশ্যকতা নাই। ইন্দ্রাণী মনে করিল, বাঁকাগাড়ি